মাদারীপুর প্রতিনিধি:জাতীয় সম্পদ ইলিশ মাছ। একসময় দেশের সমুদ্র ও নদীগুলোতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত কিন্তু দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রচুর চাহিদার কারনে দিনে দিনে ইলিশ উৎপাদনের পরিমান কমে যাচ্ছে। অস্বাভাবিক দামের কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে ইলিশ মাছ। সাধারনত অক্টোবর, নভেম্বর মাস হচ্ছে ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়। সামুদ্রিক এ মাছ ডিম ছাড়ার জন্যে এসময় নদীতে উঠে আসে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবরের ১৩’তারিখ থেকে নভেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা থাকে। পদ্মার তীরবর্তী উপজেলা মাদারীপুরের শিবচরে নিষেধাজ্ঞার এসময়ে চলে ইলিশ উৎসব। পদ্মার বিশাল জলসীমা ও তীরবর্তী অঞ্চলে এসময়ে শিবচরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা জেলে ও ইলিশ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। গত ১২ দিনে শিবচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), নৌ-পুলিশ, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, থানা পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান ও আলাদাভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময়ে ১৩টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৬০৯২০০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আটক করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ১৮ জন আসামীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । ৪১২ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দান করা হয়। মৎস আইনে ও বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালানোর অপরাধে ৫জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ৩জনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। আটক করা হয় ৯টি নৌকা।
শিবচরের চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা জেলে ও ইলিশ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গত ১২ দিনে ৬০৯২০০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ, ১৮ জন আসামীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা, ৪১২ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ, বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালানোর অপরাধে ৫ জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩ জনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। আটক করা হয় ৯টি নৌকা। আমাদের অভিযান চলমান আছে ।