শেখ মাহবুব সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগন্জের সলঙ্গায় ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের সি আর বিসি এলাকায় হোটেল নুরজাহানের মাছের গাড়িতে পানি সরবরাহের কারনে মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্থ্য ও খানাখন্দে পরিণত হয়েছে,প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।
রাজশাহী, কুষ্টিয়া, বনপাড়া থেকে ছেড়ে আসা মাছ বহন কারী গাড়িতে পানি সরবারহের কারনে হোটেল নুরজাহানের সামনে মহাসড়ক খানাখন্দে পরিনণত হয়েছে।
মাছ বহনকারী গাড়ি হোটেল নুরজাহান থেকে পানি ভর্তি করে বের হওয়ার সময় পানি অবাধে ফেলা হচ্ছে রাস্তায়। পানির কারণে হোটেলের প্রবেশ দ্বার ও সামনের অনেক অংশ জুরে অল্প সময়ে রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে বিটুমিন ও খোয়া। যার ফলে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
জানাজায়, ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের মাছ বাহিত গাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতি গাড়ি ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে পানি সরবারহ করে আসছে। হোটেল থেকে পানি নিয়ে আবার বের হওয়ার পথেই মহাসড়কের উপর উপচে পরা পানি পরছে অবাধে ফলে রাস্তাটিতে বিটুমিন ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে মটর সাইকেল, সিএনজি, ও ছোটখাট পরিবহন গুলো এসব খানাখন্দের কারনে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর একজন জানান, হোটেল নুর জাহানে সন্ধার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ গাড়ি পানি ভড়ে আবার ঢাকার দিকে রওনা হয়।
প্রতি গাড়ি থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নিয়ে তারা পানি বিক্রি করে। কিন্তু গাড়ি পানি নিয়ে বের হওয়ার সময় উপচে পরে মহাসড়কটি নস্ট করে ফেলে।
হোটেলের সামনে থেকে প্রায় আরিফ মরিয়ম হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়।
এই টুকু রাস্তায় ছোট পরিবহনগুলো দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
হোটেল নুরজাহানের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছুই বলে না।
এ বিষয়ে হোটেল নুরজাহানের মালিক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, আমার পয়েন্টের কারনে রাস্তায় পানি পরে রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে এটা সত্যি আমি ছাড়াও অনেক পানির পয়েন্ট রয়েছে। কিন্তু আমার সামনেই বেশী ক্ষতি হয়েছে, আমি বন্ধ রাখছি।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ জাকির হোসেন জানান, পানির পয়েন্টের কারনে যদি মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয় তাহলে দেখে তাদের সাথে আলোচনা করে বন্ধ করা হবে।