আহত ৯ জনের মধ্যে একজন জেলার রায়পুর উপজেলার চরমোহনা গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে শহিদ উল্যা (৪৯)। বাকি ৮ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে কারো হাত, কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিস্ফোরণে আহত এবং নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি আহতদের অবস্থা গুরুতর। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৫-৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেছি। এদের মধ্যে কারো হাত, করো পা, কারো জিহ্বা, কারো বুকে আঘাত লেগেছে। একজনের পা ও একজনের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে চলাচলকারী মেঘনা ক্লাসিক বাসটি রাত ১টার দিকে গ্রিনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশন গ্যাস নিতে যায়। বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাসের আশপাশের থাকা লোকজন আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় তিনজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহত তিনজনকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের ত্রুটির কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এছাড়া ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসে কল দিলেও তারা ঘটনার প্রায় একঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গ্যাস পাম্পের সিকিউরিটি কর্মী হুমায়ুন বলেন, বাসটিতে গ্যাস রিফিল করার সময় সেটি কেঁপে ওঠে। রিফিল কর্মী (নজেল ম্যান) দ্রুত গ্যাসের নজেল খুলে নেয়। সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় আশেপাশে থাকা লোকজন আহত ও নিহত হয়। বিকট শব্দে পাম্পের বিভিন্ন স্থানে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে যায়৷