মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরে শরিকানা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে কুপিয়ে ২ জন নারীকে হত্যা ও অপর ২ জনকে আহত করেছেন প্রতিপক্ষরা।শনিবার (১২ অক্টোবর), সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের সানঘাট গ্রামের দাড়িপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সানঘাট গ্রামের মৃত আজিত ফরাজির ছেলে ওহিদুল ইসলাম ও তার মেজো ভাই জাহিদুর রহমান এবং তাদের বোন জোসনা খাতুনের সাথে শরিকানা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মামলা চলে আসছিল।
শনিবার সকালে সকলে একত্রে বসে বিষয়টি নিয়ে মিমাংসা হওয়ার পর ওহিদুলের বোন জোসনা ও শামীমা এবং ভাই জাহিদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া মীমাংসিত জমির পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করতে যান। এসময় ওহিদুল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে একের পর এক সকলকে কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়, হত্যাকারী ওহিদের বোন জোসনা ও ভাই জাহিদের স্ত্রী জাকিয়া। জোসনা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের স্ত্রী ও জাকিয়া সানঘাট গ্রামের জাহিদের স্ত্রী ও একটি কলেজের শিক্ষিকা বলে জানা গেছে।
ঘটনায় আহত জাহিদ ও তার বোন শামীমাকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হত্যাকান্ড ঘটানোর পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে হত্যাকারী ওহিদুল ইসলাম ওরফে ওহিদ। সে সানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বলে এলাকাবাসীরা জানান।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, যৌথবাহিনীর কর্মকর্তা ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান ছিল।ওসি তাজুল ইসলাম জানান, হত্যাকারীকে আটকে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।