তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো পুজা চলাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন না হয়। যদি কোনো কারণে সমস্যা হয়- তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ সময় তিনি জামাতের নামাজের সময় মাইক বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন।
উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। আমিও মনেকরি দেশে সংখ্যালঘু বা সংখ্যা গড়িষ্ঠ বলে কিছু নেই। সবাই আমরা একটা পরিবার। আশাকরি আমরা ভালো একটা পুজা উৎযাপন করতে পারবো। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আমার বাড়ি হলেও অনেকে বলেন- টাঙ্গাইল আমার বাপের বাড়ি। ১৯৮৭ সাল থেকে আমি টাঙ্গাইলে কাজ করার সুবাদে এটা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী না থাকলে বাংলাদেশ হতো কি-না সন্দেহ আছে। তিনি বিশ্বের দরবারে টাঙ্গাইলকে পরিচিত করেছেন। মওলানা ভাসানীর জীবনী সকল পাঠ্যপুস্তকে থাকা দরকার- এজন্য যদি আমাকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দাঁড়াতে হয়, দাঁড়াবো।
জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সানতু, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) এএম জহিরুল হায়াত, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন ঝন্টু, শ্রী শ্রী কালিবাড়ি টাঙ্গাইলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবন কৃষ্ণ চৌধুরী, সদর উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার দাস, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
ওই মতবিনিময় সভায় জেলা ও ১২টি উপজেলার পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে তিনি জেলার দেলদুয়ার উপজেলার বিষ্ণুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উবীনীগ কার্যালয়ে যান। পরে একই উপজেলার পাথরাইলে স্থানীয় পুজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।