জানা গেছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি বাংলা। তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন যে শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!তিনি দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন, তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই জানায়নি। কিন্তু সেই ‘লোকেশন’ যে গত কয়েকদিনের ভেতরে মোটেও পাল্টায়নি, সে কথাও জানানো হয়েছে।
দিল্লির সাউথ ব্লকে একটি উচ্চপদস্থ সূত্র বলেছে, “যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোছাপা করার তো কোনো কারণ নেই!”ফলে শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এসব খবরকে উপেক্ষা করতেই পরামর্শ দিচ্ছে দিল্লি।
পতন হওয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে গত কয়েকদিনে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, “ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি। ”
তিনি আরও বলেন, “আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি। ”