সিরাজগঞ্জের বেলকুচির দৃষ্টিনন্দন আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির দৃষ্টিনন্দন আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : শৈল্পিক কারু কাজের সম্বনয়ে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মান করা হয়েছে আধুনিক দৃষ্টিনন্দিত আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ। সৌন্দর্য্যে ভরপুর শিল্পের নিপুন হাতের ছোয়ায় কারুকাযের্র মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা মার্বেল পাথর, টাইলস্ ও ঝাড়বাতি দিয়ে। এক একর জমির উপর নির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ১২ বছর। মসজিদটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান এমনকি বিদেশ থেকেও ছুটে আসছে নানা বয়সী ধর্মপ্রাণ মানুষ। দৃষ্টি নন্দিত এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পেরে আত্মতৃপ্তির কথাও জানান ধর্মপ্রান মুসুল্লীরা।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার শিল্পপতি মরহুম মোহাম্মদ আলী সরকার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বেলকুচি পৌর ভবনের পাশে এক একর জমির উপর তার ছেলে আল-আমান ও মা বাহেলা খাতুনের নামে আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু ২০২০ সালের ২ আগষ্ট মসজিদটি উদ্বোধনের আগেই তিনি মৃত্যুবরন করেন। পরবর্তিতে মরহুম মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলেরা মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। পরবর্তীতে ২ এপ্রিল জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। মসজিদের খাদেম বলছেন, মরহুম মোহাম্মদ আলী সাহেব আশা করেছিলেন মৃত্যূর আগে ভাল কিছু করে যাবেন, সেই আশা আল্লাহ পাক কবুল করায় এ মসজিদটি নির্মান করতে পেরেছেন। এই মসজিদে থাকতে পেরে আমি নিজেও আনন্দ বোধ করি আর দিনমুজুর থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী মানুষ এই মসজিদে নামাজ পরে তৃপ্তি পায়।
ভক্সপপ: ১ খাদেম , আল-আমান বাহেলা খাতুন
প্রধান ফটকের সামনে সিড়ির দু’পাশে মুসুল্লীদের অজু জন্য রয়েছে দুটি আধুনিক অজু খানা। পানি রাখার জন্য রয়েছে স্বচ্ছ কাচে মোড়ানো পানির পাত্র। সারা বছরই মসজিদটি দেখতে ও এখানে নামাজ আদায় করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে নানা বয়সের মানুষ। পবিত্র রমজান মাসে যা বেড়ে দাড়ায় কয়েকগুণ।
এছাড়াও মসজিদটির মাঝখানে রয়েছে একটি বিশাল আকৃতির গম্বুজ। পাশাপাশি দু’পাশে রয়েছে ১শ ১০ ফিট উচ্চতার দুটি বড় বড় মিনার। সেই সাথে ছোট ছোট আরো ৮টি গম্বুজ। মসজিদের ভিতরে রয়েছে শৈল্পিক মার্বেল পাথরের পিলার, বিভিন্ন কারুকাজ করা টাইলস। এতে প্রচন্ড গরমেও মসজিদের ভিতরে ঠান্ডা অনুভব হয়। আর মসজিদরে চত্তরে লাগালো হয়েছে সবুজ ঘাষ ও গাছপালা। দিনের আলো শেষে রাতের আধার নামলে নজরকারা আলোকবাতিতে আলোকিত হয় মসজিদের পুরো চত্তর।
ভক্সপপ: ১-২
মসজিদের ইমাম বলছেন, ভারত, ইটালি ও তুরষ্ক থেকে আমদানি করা মার্বেল পাথর ও গ্রাানাইড পাথরে মোড়ানো মসজিদের চারপাশ। মসজিদের ভিতরে লাগানো নজর কাড়া ঝাড় বাতিগুলো আনা হয়েছে চীন থেকে। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ মসজিদটি নামাজ পড়তে এসে মনের তৃপ্তি পায়।
সট- ইমাম, আল-আমান বাহেলা খাতুন
৩ তলা বিশিষ্ট আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদটিতে এক সাথে প্রায় ৭ হাজার মানুষের নামাজ আদায় করতে পারে। মসজিদটি পরিচালনার জন্য রয়েছে ২ জন ইমাম ও ৬ জন খাদেম। মসজিদটি নির্মাণে এ পর্যন্ত ব্যায় হয়েছে ৩২ কোটি টাকা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::