মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,টেকনাফ কক্সবাজার প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। যার ফলে সাগর উত্তাল রয়েছে৷ যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
টেকনাফ উপকূলের সাগর পাড়ে জাল ও নৌযানের বিভিন্ন ধরনের মেরামত কাজ করছেন মাঝিমাল্লারা। দুইদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বিকল্প নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নৌকার মাঝি ইব্রাহীম বলেন, সাগরে উত্তালের কারণে দুইদিন ধরে মাছ শিকার বন্ধ। যখন সাগর শিথিল হয়, তখন ২২ দিন সাগরে তা বন্ধ রাখা হয়। তখন আমরা কষ্টে পড়ে যাই। যে সময় জালে বেশি মাছ ধরা পড়ে, তখন ২২ দিন বন্ধ রাখা হয়। আমাদের চলাফেরায় কোন ব্যবস্থা নেই। ৯০% জেলেদের মধ্যে ৫ শতাংশ জেলে সরকারি চাল পায়। আর বাকিরা পায় না।
জেলে শামশুল আলম বলেন, সাগর উত্তালের কারণে আমরা সাগরে যেতে পারছি না। আমরা গরিব মানুষ। আমরা কোথায় যাব। আমরা এখন অসহায়। মাছ শিকার করা ছড়া অন্য কাজ জানি না। সাগর ছাড়া আমরা চলাফেরা করতে কষ্ট হয়ে যায়।
জেলে কালু মিয়া বলেন, সাগর উত্তাল এর কারণে আমরা জাল নৌকা মেরামত করছি। আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার করাতে পারছি না। আমরা এখন চিন্তায় পড়ে গেছি। সামনে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখা হবে। আমরা সরকারি চালও পাই না।
শুক্রবার সকালে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো দেলোয়ার হোসেন বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পযন্ত ২২দিন ইলিশ প্রজনন মৌসুম হিসেবে নদী ও সাগরের মাছ ধরা ও বিক্রয় বন্ধ থাকবে।