রাফি চৌধুরী,সীতাকুণ্ডঃ এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই পৃথিবীতে।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাবেক যূগ্ম মহাসচিব ও বিজয় স্মরণী ডিগ্রী কলেজ গভনিং বডি সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আসলাম চৌধূরী।
আজ ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয় স্মরণী ডিগ্রী কলেজ আয়োজিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সঃ এর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কলেজ হল রুমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসলাম চৌধূরী উপরোক্ত আলোচনা করেন।
বিজয় স্মরনী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক এম শহীদুল্লাহ আজাদ ও অধ্যাপক আবু সালেহ এর যৌথ পরিচালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কাজী মোঃ শিহাব উদ্দিন। তিনি মহানবীর জীবনী নিয়ে আলোচনায় বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী হচ্ছে শেষনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের মাঝে পালিত একটি উৎসব। মুসলিমদের মাঝে এ দিনটি বেশ উৎসবের সঙ্গে পালন হতে দেখা যায়। বাংলাদেশি মুসলিমরা এই দিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলে অভিহিত করেন। মুহাম্মদ সঃ এর জন্ম উদ্যাপন হিসাবে উল্লেখ করার পাশাপাশি, মওলিদ শব্দটি ‘মুহাম্মদের জন্ম উদযাপনের জন্য বিশেষভাবে রচিত এবং আবৃত্তি করা পাঠ্য’ বা ‘সেই দিনে আবৃত্তি করা বা গাওয়া একটি পাঠ্য’-কে বোঝায়।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক এ এম রফিকুল আলম হাচানী, কলেজ গভনিং বডির বিদ্যুৎসাহী সদস্য প্রফেসর মোঃ নুরুল কুদ্দুস, দাতা সদস্য আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন চৌধূরী,প্রাক্তন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শফিউল আলম,আলহাজ্ব ফরিদুল আলম,ডাঃ খালেদ উদ্দিন ঈসা চৌধূরী,বিএনপি নেতা মোরসালিন,শেখ সাহাবুদ্দিন,মহিউদ্দিন,জাহেদুল হাসান,হেলাল উদ্দিন বাবর, রবিউল রবি,জুয়েল চৌধুরী,সোলাইমান রাজ প্রমূখ।