নিজস্ব প্রতিবেদক::::চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের উপর ছাত্রশিবির কতৃক হামলার অভিযোগ আনেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল। গত ২৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় আহত ছাত্রদল কর্মীরা হলেন সাইফুল করিম আরিয়ান(যুগ্ম আহবায়ক, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল), শরিফুল ইসলাম আবির(যুগ্ম আহবায়ক,চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল), নাইম ভুঁইয়া(সদস্য), শোয়াইব উল ইসলাম(সদস্য), আশরাফ(সদস্য)সহ আরো অনেকে।
ক্লাস করার উদ্দেশ্যে ছাত্রদল কর্মী আশরাফ কলেজ ক্যাম্পাসে গেলে কয়েকজন শিবির কর্মী তাকে ক্যাম্পাস থেকে মারধর করতে করতে টর্চার সেলে তুলে নিয়ে যায় বলে জানা যায় চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর দেওয়া ভুক্তভোগীর এক অভিযোগ পত্র থেকে।
এ ব্যাপারে আশরাফ নিরাপত্তাহীনতা ও প্রাণনাসের আশংকা ব্যক্ত করে গণমাধ্যমকে জানান, “আমার কোন প্রকার দোষ-ত্রুটি না থাকা সত্তেও শুধুমাত্র ছাত্রদল করি বলে শিবির আমাকে তুলে নিয়ে যায় এবং প্রচুর মারধর করে। তারা আমাকে বলে যে তুই ছাত্রদল করিস,ক্যাম্পাসে আসবি না, জানে মেরে ফেলব।” উল্লেখ্য,আশরাফ চট্টগ্রাম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
পরবর্তীতে আশরাফ তার সহপাঠী ও বড় ভাইদের এ ব্যাপারে জানালে তারা কয়েকজন মিলে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে যান এবং অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অভিযোগ পত্র জমা দিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর প্রায় অর্ধ শতাধিক শিবির কর্মী তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে ঘটনায় উপস্থিত আহত ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহরাব আবির গণমাধ্যমকে জানান, “আমাদের ছাত্রদল কর্মী আশরাফকে মারধর করার ঘটনা আশরাফ আমাকে জানালে আমি দ্রুত ক্যাম্পাসে আসি এবং একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে যাই,অভিযোগ পত্র জমা দিয়ে বের হওয়ার পর অতর্কিতভাবে শিবির বহিরাগতসহ আমাদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ চালায়।”
তিনি আরো জানান, “আমাকে ১০-১৫ জন মিলে চোখে, মুখে কিল-ঘুষী মারতে থাকে এবং পরবর্তীতে আমি চোখে,মাথায়,বুকে,হাটুতে গুরুতর আঘাত পেলে আমাকে উদ্ধার করে সিএমসিতে ভর্তি করা হয়।”
উল্লেখ্য এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া ছাড়া দৃষ্টিগোচর কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।