নিউজ ডেস্ক::: ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়ার পর অবশেষে প্রথম চালানে ১৮ মেট্রিক টন (১৮ হাজার কেজি) ইলিশ মাছ গেল ভারতে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার সময় বেনাপোলে দিয়ে ভারতে যায় পদ্মার রুপালী ইলিশ।
এরআগে প্রথম চালানের ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ১৩টি ট্রাকে করে প্রথমে পৌঁছে বেনাপোল বন্দরে। পরে বেনাপোল কাস্টম ও মৎস্য-প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা মাছের মান পরীক্ষার পর দেওয়া হয় অনুমতি। বাংলাদেশের রপ্তনিকারক প্রতিষ্ঠা আলেয়া এন্টারপ্রাইজ, জে এস এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, স্বর্নালি এন্টারপ্রাইজসহ ৮টি প্রতিষ্ঠান প্রথম দিনে ইলিশ পাঠাল ভারতে। বিভিন্ন শুল্ক স্টেশন দিয়ে ইলিশ রপ্তানি হবে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। এই অনুমতির মেয়াদ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। উৎসবের মৌসুমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ পৌঁছাত। আগের সরকারগুলো একে বলত, ‘উপহারের ইলিশ’। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানো নিয়ে কঠোর মনোভাবের কথা জানায়। পরে অবশ্য অবস্থান পরিবর্তন করেছে তারা।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র নিয়ে ইলিশের চালান বন্দরে আসার পর মান নিয়ন্ত্রণ যাচাই করে ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। আজ প্রথম চালানে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে যদি আরো কোন ইলিশ মাছের ট্রাক বন্দরে আসে তাদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, রপ্তানিকারকরা ১০ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় ১২০০ টাকা। এ পর্যন্ত ৮টি প্রতিষ্ঠান ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ ছাড়াতে তাদের কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টমস হাউজে জমা দিয়েছিল। মাছের চালানের কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় আমাদের পক্ষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর আবার শুরু হয় রপ্তানি। গত বছর রপ্তানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ মেট্রিক টনের। তবে, বাংলাদেশে ইলিশের সংকটে মাছ রপ্তানিতে সংকটের সৃস্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দুই দেশের আমদানি-রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা।