তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ আলোচনার পর একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি। এই সমঝোতা স্মারকে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ সবাই স্বাক্ষর করেছে। সবাইকে এইটা মেনে চলতে হবে আজকে সকলকে এই অঙ্গীকার করতে হবে। এই চুক্তি থেকে আমাদের পিছু হটার কোনো কারণ বা অবকাশ নেই। কোনো বাহানা করা যাবে না।
এ সময় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল থেকে এই শিল্প কারখানা সচল দেখতে চান বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা মাধ্যমে এই শিল্পটিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে শুধু দেশ থেকে নয় বিদেশ থেকেও হচ্ছে। এই শিল্প যদি বাইরে চলে যায় তাহলে আমাদের কি হবে। সে বিষয়টা সবাইকে চিন্তা করতে হবে।
পরিশেষে আমি একটাই কথা বলবো আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই আপনারা নিজেদের হাতে নেবেন না। আর আমি আগামীকাল থেকে আশা করবো কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন ইন্ডাস্ট্রি এলাকায় সৃষ্টি না হয়। এটার ব্যত্যয় ঘটলে আপনারাই এর জন্য দায়ী থাকবেন। কারণ আপনারা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন।
আগামীকাল থেকে সব শিল্প খোলা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিক ভাই বোনদের কাছে আবেদন করছি, আপনারা শুধু স্বাক্ষর করলে চলবে না৷ মনের ভেতর থেকে আসতে হবে যে, এই শিল্পই আমাদের বাঁচাবে। এই শিল্পই আমাদের সব কিছু দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আপনাদের নয় জনগণকে অনেক কিছু দিয়ে যাচ্ছে। এই শিল্পের ওপর দেড় কোটি নয় পুরো বাংলাদেশের মানুষ নির্ভরশীল। এজন্য আপনাদের নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমি আবারও আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি আগামীকাল যেন এই শিল্পটা ভালোভাবে চালু হয় সেই চেষ্টা করবেন।