গণশুনানি ছাড়া জ্বালানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আইন বাতিল হচ্ছে

গণশুনানি ছাড়া জ্বালানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আইন বাতিল হচ্ছে
নিউজ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট)। অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে তিন এজেন্ডা উন্থাপন করা হবে।এরমধ্যে দু’টি অধ্যাদেশ এবং একটি চুক্তি সংক্রান্ত।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এদিন বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এবং ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ উন্থাপিত হবে। এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকার ও কাতার সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বি-পাক্ষিক পুঁজি-বিনিযোগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উন্থাপন করা হবে। উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো-  জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়।  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো রোধে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ পাস হতে পারে। পূর্বের এ সংক্রান্ত আইন থাকায় প্রয়োজন মনে করলেই সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারে। ওই আইনের কারণে সরকার গত কয়েক বছর ধরে কারণ ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করে আসছিলো।জানা গেছে, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার ছিল বিইআরসির। দাম বাড়ানোর আবেদন পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই ও গণশুনানির আয়োজন করে ৯০ দিনের মধ্যে দাম নির্ধারণ করতে পারত তারা।এদিকে, গত ১৮ আগস্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, যা দুর্ভোগ আরও বাড়াবে। আমরা বাধ্য না হলে মূল্যবৃদ্ধি করব না। প্রয়োজন হলে কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলে নীতিমালা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেবে।

শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১১ আগস্ট সচিবালয়ে প্রথমবার অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। ওই দিন তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট রয়েছে। আমরা এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে একটা ম্যাসাকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। সহস্র-হাজার শিক্ষার্থী মারা গেছে, আমরা মনে করি তিনি এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করছি।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::