নিউজ ডেস্ক : প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আলোচনায় রয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী। একজন চালকের কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ-সম্পদ কীভাবে হয়, সে তথ্য খুঁজতে গিয়ে সাংবাদিকদের মেলে নানা তথ্য।গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তি আবার বলেছেন, প্রশ্নফাঁস করে যে টাকা কামিয়েছেন তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছেন।পিএসসির কোন কোন সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক ছিলেন আবেদ সে তালিকা না পাওয়া গেলেও দুজন ব্যক্তির নাম উঠে আসে। একজন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাদিক, অপরজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম।আবেদ ড. জিনাতুন নেসার সময়ও প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। যে কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাঁকা তীরের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন তিনি। এই খড়্গ পড়েছে তাহসান খানেও ওপরেও। গুঞ্জন হচ্ছে, ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান। কেননা, জিনাতুন নেসার চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২৪তম বিসিএস অনুষ্ঠিত হয়।ওই পরীক্ষা বাতিলও হয়েছিল। পরবর্তী ভাইভা অনুষ্ঠিত হলে বাদ পড়েন তাহসান খান।ফেসবুক, টুইটারে এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ট্রল করা হচ্ছে তাহসান ও তার মাকে। কথা হচ্ছে তাদের নীতি-নৈতিকতা নিয়েও। এ নিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারণ না করলেও প্রতীয়মান হয়, বেশ বেকায়দায় পড়েছেন তাহসান।জনপ্রিয় এ সঙ্গীতশিল্পী কিছু না বললেও গুঞ্জন ওঠা বিষয়টিকে স্রেফ গুজব বলে দাবি করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গ্রুপ রিউমার স্ক্যানার।রিউমার স্ক্যানার বলছে, ২৪তম বিসিএসে ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়। মূলত ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৩ মার্চ পরীক্ষাটি বাতিল করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। পরবর্তী সময়ে পুনরায় ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষা ও ভাইবার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়। অর্থাৎ, যে বিসিএসে তাহসান পররাষ্ট্র ক্যাডার হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর-ই বাতিল হয়, তাই সেই বিসিএসে তাহসানের পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাছাড়া ২৪তম বিসিএসে ভাইবা একবারই হয়েছিল। যার কারণে পুনরায় ভাইবায় অংশগ্রহণের দাবিটিও অমূলক।নিজেদের এ দাবির পক্ষে কিছু সংবাদ প্রতিবেদন প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছে ফেসবুকে এ গ্রুপটি। কেননা, ২৪তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির বিষয়টি জাতীয় দৈনিকগুলোয় উঠে এসেছিল। ২০০৩ সালের ৪ মার্চের দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় শিরোনাম ছিল ‘২৪তম বিসিএস পরীক্ষা বাতিল’। রিউমার স্ক্যানার ওই প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে।ইনকিলাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল (সোমবার) বিকেলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় আকস্মিকভাবেই এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশ্য এর আগে গতকাল সকালেই পিএসসি ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করতে না করতেই রহস্যজনকভাবে পুরো পরীক্ষা বাতিলেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।