জাহিদুল ইসলাম, দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকীতে বরাবরের ন্যায় এবারও বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে ক্ষেতে বীজ বপন শেষ হয়েছে। দিগন্ত জুঁড়ে সবুজ ধানের চারায় ছেঁয়ে গেছে কৃষকের ক্ষেত। কৃষকরা বর্তমানে পানি সেচ, আগাছা পরিষ্কার, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। তবে কৃষকরা জানান, পানির অভাবে সেচ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বোরোর ভালো ফলন হবে এমনটাই জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১০ হেক্টর। শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া, আঙ্গারিয়া, লেবুখালী ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চাষাবাদ করেছে বোরোর।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কার্তিক পাশা গ্রামে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বোরো ধানের। কোন কোন ক্ষেতে ধান বের হওয়া শুরু করেছে । আবাদকৃত জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্রিধান-৭৪, ৮৮,৮৯ ও বিনা -২৫।
আঠারোগাছিয়ার কৃষক কবির সিকদার, আ: হক সিকদার, শাহজাহান হাওলাদার বলেন, বোরো রোপা ভালো ধরেছে, তবে পানির অভাবে ঠিকমত ক্ষেতে সেচ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী গোদার খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে। দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক শামীম মৃধা, ছালাম সিকদার জানান, রোপা ভালো ধরেছে, ক্ষেতে নিরানি, সার ওষুধ ও পোকামাকড় নিধনের জন্য ডাল পুঁতে দিতেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাব বলে আশা করি।
দক্ষিণ মুরাদিয়ার কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কৃষি প্রনোদনার আওতায় বিনা মূল্যে ব্রিধান-৭৪, বারি- ২৫ বীজ ধান ও সার পেয়েছি। আমি ২একর জমি চাষ করেছি। প্রথমে রোপা খারাপ ছিল কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে বর্তমানে রোপা ভালো ধরেছে।
আঠারো গাছিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি নিয়মিত কৃষকদের সাথে সরেজমিনে বোরো ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করি এবং তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিতেছি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, কৃষি প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রিধান-৭৪,৮৮,৮৯, বিনা -২৫ ধানের বীজ, সার বিতরণ করেছি। আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত দেখভাল ও পরামর্শ দিচ্ছেন। আশাকরি ফলন ভালো হবে এবং আমাদের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে।