মাদারীপুরের শিবচর ও রাজৈর উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সাথে পুলিশের সরাসরি যোগাযোগের জন্য এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজার, বাসস্ট্যান্ড এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সার্কেল অফিসার, ওসি, ডিউটি অফিসার এবং থানা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও ইমারজেন্সি নাম্বার প্রদান করা হয়েছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে চুরি, ডাকাতি, মাদক সেবন ও বিক্রি, মারামারি, দস্যুতা, দাঙ্গা, অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, ইভটিজিং, খুন, আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ যেকোনো অপরাধের সংবাদ দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।শুক্রবার সরেজমিনে শিবচর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাদারীপুর জেলা পুলিশ শিবচর সার্কেল এর উদ্যোগে যে বিলবোর্ড টানানো হয়েছে তা থেকে নাম্বার নিয়ে করিম নামে এক যুবক তাৎক্ষণিক শিবচর থানার ওসিকে ফোন দিয়ে বললো স্যার আমাদের এলাকায় মারামারি হচ্ছে পুলিশ পাঠান। অপরদিকে সুমি আক্তার নামে আরেক জন রাজৈর থানার ওসিকে ফোন দিয়ে বলছে স্যার আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার সময়ে কেযেনো খারাপ কথা বলেছে আপনি এই ব্যাপারটা একটু দেখেন। শুধু করিম বা সুমি নয় এভাবে প্রতিদিন কয়েকশত লোক বিভিন্ন প্রয়োজনে সার্কেল অফিসার, ওসি, ডিউটি অফিসারকে ফোন দিচ্ছে । আগে সার্কেল অফিসার, ওসি, ডিউটি অফিসারকে ফোন দিতে হলে বিভিন্ন জনকে তোষামতি করে নাম্বার আনতে হতো। এখন বিলবোর্ড এর ভিতরে সব নাম্বার দেওয়া আছে। যখন তখন পুলিশের অফিসারদের ফোন দেওয়া যায়। পুলিশের সেবা এখন হাতে নাগালে পাওয়া যাচ্ছে ।
এব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর ও রাজৈর সার্কেল) রব্বানী হোসেন বলেন, আমি শিবচর সার্কেল অফিসে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে গত পাঁচ মাস আগে যোগদান করেছি । যোগদান করার পর মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম স্যারের নির্দেশনায় ঘরে ঘরে পুলিশের নাম্বার পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহন করি । তারই ধারাবাহিকতায় প্রত্যেক বাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিলবোর্ডের মাধ্যমে পুলিশের নাম্বারগুলো এবং সেখানে আমার নাম্বারসহ থানার গুরুত্বপূর্ণ নাম্বার রয়েছে। যাতে মানুষ বিপদ বা যেকোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে পুলিশের সহযোগিতা পায় বা পুলিশকে জানাতে পারে এবং পুলিশ খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছাতে পারে। আপনারা এই নাম্বারগুলিতে যেকোনো ধরনের অপরাধ- মাদক, জুয়া, মারামারি, খুন, নারী নির্যাতন, যেকোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে এই নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করবেন এবং আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে পৌছে যাব। মানে হচ্ছে যে, প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ যেন পুলিশের সাথে one to one connection রাখতে পারে। That’s why, আমরা এই নাম্বারগুলো ঘরে ঘরে লিফলেটের মাধ্যমে দেওয়া হবে। আপাতত প্রত্যেকটা বাজারগুলোতে বিলবোর্ডের মাধ্যমে এই নাম্বারগুলো বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।