সমাচার ডেস্ক:: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ভোট দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোটদানে বাধা দেওয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা বেআইনি। এই বেআইনি কাজ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে বিভিন্ন নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন ও নির্বাচন কেন্দ্রে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ডিজি এসব কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে আমাদের একটা চমৎকার কোঅর্ডিনেশন রয়েছে। আমরা টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, এরইমধ্যে আমরা তা সম্পন্ন করেছি। আমি বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। দেখে মনে হয়েছে, সব ঠিক আছে, সুন্দর পরিবেশ।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রতি পাঁচ বছর পর একবার মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়। ৭ জানুয়ারি সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আমরা প্রস্তুত। এরই মধ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য যারা রয়েছি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সারাদেশে আমাদের র্যাবের ইউনিট রয়েছে সেখানে আমরা স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে রোবাস্ট পেট্রলিং করছি। নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রায় ৭০০ মোবাইল পেট্রল কাজ করবে। সে সঙ্গে আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। আমাদের সাইবার পেট্রোলিংয়ের কাজ চলছে বিভিন্ন ধরনের গুজব প্রতিরোধ করার জন্য। আমাদের সুইপিং টিম কাজ করছে। থাকবে ডগ স্কোয়াড, বোম স্কোয়াড। বিশেষ কোনো জরুরি প্রয়োজন হলে আমাদের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে।
র্যাব ডিজি আরও বলেন, র্যাবের ডিভাইস ‘ওআইভিএস’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এক এলাকার ভোটার ব্যতীত অন্য এলাকার বহিরাগত আসতে চাইলে তাকে যেন আইডেন্টিফাই করা যায়। আমরা এ ব্যবস্থা রেখেছি যাতে করে বহিরাগতরা ভোট সেন্টারে প্রবেশ করতে না পারে।
খুরশীদ বলেন, আমি নিজে সাতটা বিভাগ পরিদর্শন করেছি। র্যাবের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাদের ব্রিফ করেছি। বিভাগীয় পর্যায়ের অন্য কর্মকর্তা যারা ছিলেন, বিশেষ করে যারা নির্বাচন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। এরই মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ও কিছু দল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার রয়েছে, কেউ নির্বাচনে ভোট দিতে পারে, নাও পারে। কিন্তু, কেউ যদি ভোট দিতে চায়, আর তাকে যদি বাধা দেওয়া হয় বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়, তা হবে সম্পূর্ণ অসংবিধানিক ও বেআইনি। এ বেআইনি কাজ যারা করবে, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছি, তাদের কঠোরভাবে দমন করব।
নাশকতা প্রসঙ্গে র্যাবের ডিজি বলেন, হ্যাঁ, টাইম দিস টাইম, কিছু নাশকতা হয়েছে। এটা হতেই পারে। এটা হবে স্বাভাবিকভাবে। একদম হান্ড্রেড পার্সেন্ট আপনি সবকিছু ঠেকাতে পারবেন, তা কিন্তু নয়। শুধু আমাদের দেশে না যুক্তরাষ্ট্রেও গত নির্বাচনের আগে হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত অ্যাটাক হয়েছে। ভারতেও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, অনেক লোক মারাও যায়। সে তুলনায় আমি মনে করি, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তুলনায় এবারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমরা বিশ্বাস করি আস্থা রাখি, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিরপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।