মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর শ্রীফলতলী মৌজার মোড়া বাজার সংলগ্ন সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন রাজৈর উপজেলার সহকারী কমিশানার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম। জেলা পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসারের সদস্যগণ এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে শ্রীফলতলী মৌজার ১৫ শতাংশ কৃষি খাসজমি জনৈক ভূমিহীন ব্যক্তিকে কৃষিকাজে ব্যবহারের শর্তে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। কিন্ত বন্দোবস্ত গ্রহীতা বন্দোবস্তের শর্ত লংঘন করে বালুভরাটের মাধ্যমে সেটিকে অকৃষি জমিতে রুপান্তর করেন এবং পরবর্তীতে সেখানে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিষয়টি নজরে আসলে রাজৈর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বন্দোবস্ত গ্রহীতাকে একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করে নির্মাণকাজ বন্ধ করতে বলেন। কিন্ত তাতে কর্ণপাত না করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণে উপজেলা প্রশাসন বন্দোবস্ত গ্রহীতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তার জবাব না দিয়ে বন্দোবস্ত গ্রহীতা নির্মানকাজ চালিয়ে যেতে থাকে। ফলে উপজেলা প্রশাসন বন্দোবস্ত বাতিলের প্রস্তাব পাঠালে জেলা প্রশাসন বিধি মোতাবেক তা অনুমোদন করে এবং উপর্যুক্ত খাসজমির বন্দোবস্ত বাতিল হয়। এর ফলে বর্ণিত খাসজমি পুনরায় সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়।
খাসজমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে আজকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয় এবং এক্সকেভেটরের মাধ্যমে উক্ত খাস জমিতে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে সেখানে লাল পতাকা টানিয়ে সরকারি দখল নিশ্চিত করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন “খাসজমি অবৈধ দখলমুক্ত করা এবং কৃষি জমি অকৃষি কাজে ব্যবহার নিরুৎসাহিত করাই আজকের উচ্ছেদ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য”।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুরের সৎ ও সুযোগ্য
জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন “যথেচ্ছ ব্যবহারের কারনে আমাদের চাষযোগ্য কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এ বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান হলো কৃষি বন্দোবস্ত নেয়া জমি অবশ্যই কৃষি কাজে ব্যবহার করতে হবে। আশাকরি এ বিষয়ে সকলে সচেতন হবেন।