প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চেক বিতরন করা হয়েছে। শনিবার ( ৪ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয় ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে চেক বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে চেক তুলে দেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য নুর-ই-আলম চৌধুরী।
মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখা সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় প্রায় ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টটিয়ার টেকনোলজির জন্য। ইতোমধ্যে ইন্সটিটিউটের নির্মান কাজও শুরু হয়েছে। আজ অনুষ্ঠানে ২০ টি চেকের মাধ্যমে সাড়ে ৬ কোটি টাকা প্রধান করা হয়।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চেক বিতরন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও সরকারের উপসচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, শিবচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মোল্লা, ভাইস চেয়ারম্যান বিএম আতাউর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রিয়াজুর রহমান, ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তা মাহবুবা ইসলাম, শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত গোলদার, সার্ভেয়ার মো. শহিদুল ইসলাম, শিবচর উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্ত এক ভূমি মালিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দালালদের মাধ্যম ছাড়া আমি নিজে গিয়ে আমার জমির সকল কাগজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছিলাম। কোনোপ্রকার হয়রানি ছাড়াই আজ ক্ষতিপূরণের চেক হাতে পেলাম।
আরেক ভূমি মালিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একটা সময় জমির ক্ষতিপূরণের চেকের জন্য দালালসহ বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে হয়েছে। এতে আমাদের অনেক সময় ও অর্থের অপচয় হয়েছে। এখন আর সেই হয়রানি নেই। উপজেলা থেকেই আমার জমির ক্ষতিপূরণের চেক পেলাম। এটা সম্ভব হয়েছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান স্যারের জন্য।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ বলেন, অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখায় যোগাযোগ করার পর উপজেলায় গিয়ে তাদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিককে কোনো প্রকারের দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার না হতে হয় সেজন্য জেলা প্রশাসন থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।