প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে ইজিবাইক চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রাতে রাজৈর উপজেলার শানেরপার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া দুটি ইজিবাইক উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কালকিনির উপজেলার চর ঠেঙ্গামারা গ্রামের সোহরাব বেপারীর ছেলে আনোয়ার বেপারী, মিনাজদি গ্রামের লুৎফর সরদারের ছেলে শাকিল সরদার, কোলচরী সস্তাল গ্রামের ছলেমান সরদারের ছেলে বাবু সরদার, মাদারীপুর সদরের চাপাতলি এলাকার রায়হান হাওলাদারের স্ত্রী কেয়া মনি ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিজ বেপারীর ছেলে ফেরদৌস বেপারী। আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো: মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মনিরুজ্জামান ফকির,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) ভাস্কর সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আলাউল হাসান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) রব্বানী হোসেন, রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচএম সালাহ উদ্দিনসহ আরও অনেকেই।
পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্যে বলেন, মাদারীপুরে বিভিন্ন সময় বেশকিছু ইজিবাইক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে অনেকগুলো মামলাও হয়েছে। পুলিশ এই চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করে আসছিলো। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজৈর উপজেলার শানেরপাড় থেকে একটি চুরি যাওয়া ইজিবাইকসহ তাদেরকে গ্রপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে আরও বলেন, গত ১৩ অগাস্ট ইশিবপুরের আল মুমিন মোল্লার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর এই ঘটনার হোতা হিসেবে চিহ্নিত মিজানুর রহমান বাচ্চুকে বরিশালের উজিরপুরের মালিকান্দা গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে জানা যায়, রাজৈরের টেকেরহাট বন্দরের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে গ্রাহকের টাকা ছিনতাই করে চক্রটি। এতে জড়িত সাত জনের একটি দল।
পুলিশ সুপার জানান, ব্যাংকে কেউ বড় অঙ্কের টাকা তুলেছে- এমন তথ্য পাওয়ার পর বাইরে অবস্থানকারী ছিনতাইকারীরা র্যাব-পুলিশ পরিচয়ে প্রাইভেটকারে তোলে সেই গ্রাহককে। পরে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মহাসড়কে তাকে ফেলে রাখা হয়।
বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে মোঃ মাসুদ আলম বলেন, “তার বিরুদ্ধে রয়েছে ডজনখানেক মামলা। বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবার একই কাজ করছেন তিনি।”