আবু নোমান: মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে চীনের বেল্ট অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভের দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সিল্ক রোড ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
দিলিপ বড়ুয়া বলেন,বিআরআই-এর মাধ্যমে শুধু অর্থনীতি নয়, এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটবে। দেশে দেশে বিশ্বায়নের সম্পর্ক মজবুত হবে। প্রযুক্তিগত উন্নতি বাড়বে বহুগুণে।
বাংলাদেশে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, যত অবকাঠামোগত উন্নয়ন–তার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা ও বিআরআইর প্রভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিআরআই শুধু বড় প্রজেক্টের মধ্যে আটকে থাকবে না। এটি প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও চীনের ইকোনমিক করিডোর হলে প্রতিটি দেশ লাভবান হতো বলেও জানান দিলিপ বড়ুয়া। তিনি বলেন,
জি-২০ সম্মেলনে দিল্লিতে ভারত মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের ইকোনমিক করিডোরের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বিশ্ব মেরুকরণের একটি শক্তিশালী মেরু চীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে চীন সমাজতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। চীন আসলে বিচ্ছিন্ন হয়নি বরং সমাজতন্ত্রকে আরও আধুনিক করেছে।’
পশ্চিমাদের আগের সেই জৌলুস আর নেই। তাদের শক্তির দিন ঘনিয়ে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সিল্ক রোড ফোরামের সভাপতি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রমুখ