দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় মামলা খেতে হলো মাদারীপুরের বর্তমান ডিসিকে

দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় মামলা খেতে হলো মাদারীপুরের বর্তমান ডিসিকে
প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি : দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় মামলা খেতে হলো মাদারীপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানকে।সোমবার বিকালে মাদারীপুর শহরের ১নং শকুনী এলাকার খালেদা ইয়াসমিন নামে এক নারী ডিসির বিরুদ্ধে  মামলা করেন । বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চন্দ্র সরকার মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। ডিসির বিরুদ্ধে মামলা করায় মাদারীপুরের সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণ ঐ মহিলার প্রতি ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, আমাদের জেলায় যখনই কোন সৎ ও ন্যায়পরায়ণ কোন ডিসি আসে তাদের বিরুদ্ধে একটি কুচুক্রী মহল কাউকে না কাউকে দিয়ে মামলা দেওয়ায়। তারা মনে করে মামলা দিলে ডিসিরা ভয় পাবে । তাদের অন্যায় ও অনিয়মের কাজ খুব সহজে ডিসির মাধ্যমে করিয়ে নিতে পারবে। এর আগেও সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমান পদোন্নতি পাওয়া যুগ্মসচিব ড. রহিমা খাতুন এর নামেও মামলা দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু অন্যায়ের কাছে আপোষ করেনি সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। বর্তমান জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানও অন্যায়, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনিও আপোষ করবে না।
মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান ৩ এপ্রিল ২০২৩ সালে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ পান। যোগদানের পর থেকে মাদারীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ রাত-দিন তার সেবা পাচ্ছে। জেলার সামাজিক ও মানবিক কাজে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য জেলাবাসীর কাছে ইতোমধ্যে তিনি ‘মানবিক জেলা প্রশাসক’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
সম্প্রতি গত ২৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাদারীপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাদারীপুর জেলাকে দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ড মুক্ত রাখবেন। তার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে দুদককে ডেকে এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সব ধরনের অন্যায় এবং দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। অন্যায় ও দুর্নীতিকারীদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া বা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান যেসব বক্তব্যে দিয়েছিলেন তার অধিকাংশই কাজ প্রায় তিন মাসের মধ্যে করতে পারায় আজ সুশীলসমাজ, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবিক জেলা প্রশাসক’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান অল্প কয়দিনের মধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন চক্র ও এর সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি দালালচক্র রুখতে কঠোরভাবে মালিকানা যাচাই- বাছাইয়ের মধ্যে দিয়ে মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তারা ডিসি অফিসের পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্থদের এলাকায় এসে চেক বিতরণ করেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান এর জন্য। জেলা প্রশাসকের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান অল্প কয়দিনের মধ্যে মাদারীপুর জেলা থেকে ঘুষ, দুর্নীতি অনিয়ম বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে কিছু কুচক্রীমহল পিছন থেকে তার এই ভালো কাজের বিরোধিতা করছে। কুচক্রীমহলের পরামর্শে
খালেদা ইয়াসমিন নামে এক নারী ডিসির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া সাহস পেয়েছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::