আশিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার : নরসিংদী-১ (সদর) আসনের সাংসদ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো (বীরপ্রতীক) এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেনি। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, তা শুধু লিখা আছে কিন্তু বাস্তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ১১জন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, তার মাঝে একজনই যুদ্ধে অংশ নেননি। সে হলো জিয়াউর রহমান। তিনি শুধু চারিদিকে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো ( বীর প্রতীক) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাধবদী থানা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠেনের আয়োজনে মাধবদী সতী প্রসন্ন ইনস্টিটিউশন মাঠে মাধবদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম সেলিম সিকু’র সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শফি উদ্দিন শফি, মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা পবিত্র রঞ্জন দাস মহাদেব, আলাউদ্দিন আল আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সেলিম মিয়া, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন (কমিশনার), মনিরুজ্জামান মনির, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মোঃ রিপন সরকার, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নজরুল ইসলাম রিপন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান কৌশলে ষড়যন্ত্র করেছে। সেই ষড়যন্ত্র আজও বিদ্যমান রেখেছে বিএনপি। আর ষড়যন্ত্র কৌশল তৈরি করেছে। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে সেই ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ নবোদয় হয়েছে। পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে রোল মডেল। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তিত হয়েছে। জাতির পিতা ও তার পরিবারকে হত্যা করেও থেমে থাকেনি স্বাধীনতা বিরোধীরা। ২০০৪ সালের ২১আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যার উপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। আল্লাহর রহমতে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু মারা যান আইভি রহমানসহ ২৪জন নেতা কর্মী। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন একটি আলোচনার বিষয়। ষড়যন্ত্র থেমে নেই, আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে স্বাধীনতা বিরোধীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। দলকে শক্তিশালী করতে হবে, তৃণমুলে সরকারের সফলতা মানুষকে বোঝাতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন ঐক্যের। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
আসছে জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবি লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা। সমাবেশে আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিট থেকে দুপুর থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সভাস্থলে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সভা স্থলে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মাঠ কানায় কানায় ভরে ওঠে। পরে আলোচনা সভা জনসভায় রুপ নেন।