নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের আগে ও পরে বাংলার জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন না। তাহলে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব পদদলিত হবে।শনিবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে মিয়ানমারের ওপর আক্রমণ করতে চায়। গতবছর মার্কিন কংগ্রেসে বার্মা ফ্যাক্ট নামক আইন পাস করেছে। এটাকে বাস্তবায়িত করতে হলে বাংলাদেশের মাটি দরকার। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিভিন্ন যড়যন্ত্র করছে।’তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে যারা আন্দোলন করছে তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ছত্রছায়ায় যড়যন্ত্র করছে। সেই যড়যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই আমরা দেশবাসীকে বলতে চাই, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন, ক্ষমতা পরিবর্তনের যড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। বাংলাদেশের রাজনীতি আজ দুই বলয়ে বিভক্ত। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, আরেকটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আজ শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে উপস্থিত করেছেন। সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে এক কোটি লোক বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে আজ ৩৫টির বেশি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। যদি দেশ স্বাধীন না হতো সেটা কি সম্ভব হতো। বাংলাদেশ নিয়ে গর্ব করার বিষয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অগ্রগতিকে যারা স্বীকার করে না, তারা কুলাঙ্গার। তারা বাঙালি জাতিকে সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে বিভক্ত করতে চায়। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে, জাতির জনকের বিরোধিতা করে তাদের ক্ষমতার মসনদে বসার অধিকার নেই। তাদের বাংলার জনগণ প্রতিরোধ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের খেদমত করতে চাই, আমরা মন্ত্রী থেকেও প্রমাণ করেছি লাভ লোকসানের হিসাবে মন্ত্রী হইনি। রাজনৈতিক কারণে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা দরকার, শেখ হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে নেই। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার। শুধু গণতন্ত্র দিয়ে কিছু হবে না, গণতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দরকার। বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য একমাত্র নেতৃত্ব দিতে পারেন শেখ হাসিনা, বিএনপির মধ্যে সেই নেতৃত্ব নেই।আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, গণ আজাদী লীগ নেতা এসকে সিকদার প্রমুখ।