দিন দিন বাড়ছে স্লিপ ডিভোর্স, বিষয়টি আসলে কী?

দিন দিন বাড়ছে স্লিপ ডিভোর্স, বিষয়টি আসলে কী?
লাইফস্টাইল ডেস্ক:  আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের  একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ লোকই রাতে ঘুমোনোর সময় তাদের স্ত্রীর থেকে আলাদা শুতে পছন্দ করছেন। মোট ২০০০ জনকে নিয়ে প্রথমিক সমীক্ষাটি করা হয়েছে। তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য।দম্পতিদের মধ্যে রাতে আলাদা ঘরে শোয়ার অভ্যাসকে বলা হয় ‘স্লিপিং ডিভোর্স’, বাংলায় ঘুমের সময় বিচ্ছেদ বললেও ভুল হবে না। সমীক্ষায় দেখা যায়, মোট ৪৫ শতাংশ পুরুষ স্বীকার করেছেন যে, তারা মাঝেমধ্যে বা বেশির ভাগ সময়ই রাতে অন্য ঘরের সোফায় কিংবা অতিথিদের রুমে গিয়ে শুতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন। অন্য দিকে ২৫ শতাংশ নারীরা এই কথা স্বীকার করেছেন।আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের গবেষকদের মত অনুযায়ী, ঘুম অসম্পূর্ণ হলে তা কেবল শরীরের ক্ষতি করে না, মন-মেজাজের উপরেও প্রভাব ফেলে। ঘুম ঠিকঠাক না হলে তর্ক-বিতর্ক বেশি হয়, ফলে সম্পর্কের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।তাই শান্তিতে ঘুমোনোর জন্য ইদানীং অনেক দম্পতিই আলাদা শুতে পছন্দ করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সঙ্গীর নাক ডাকার প্রবণতার জন্য অপর জন আলাদা ঘরে শুতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সঙ্গীকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য উদ্যোগী করে তোলা ভীষণ জরুরি। এই ছোট সমস্যা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো বড় সমস্যাও ডেকে আনতে পারে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এখন অনেকেই ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলছেন। অনেকেই বলছেন, তাদের সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছিল তখন তারা ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর পথ বেছে নিয়েছিলেন। আর এই পন্থা মেনে চলার পর তাদের সম্পর্কের ভীত মজবুত হয়েছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::