নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের জয়ের মাধ্যমে টানা ১০ বছর পর নগর ভবনে ফিরল ক্ষমতাসীন দল।আজ বুধবার রাত ৮টায় নগরের জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের। তিনি জানান, সিসিকের ১৯০টি কেন্দ্রে আনোয়ারুজ্জামান পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। আর তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। ৬৯ হাজার ১২৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নগরীর ১৯০টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলে। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু করে।সিলেটের নতুন নগরপিতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১৯৭০ সালের ১ জুন সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম তিলাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম নৌশা মিয়া চৌধুরী এবং মায়ের নাম মোছা. গহিনুন্নেছা চৌধুরী।কৈশোরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন তাঁকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন।ছয় ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সবার ছোট। তিনি পশ্চিম তিলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্য থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা ও রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন।তিনি দেশে মৌসুমী সমাজকল্যাণ সংঘ ও খেলাঘরের বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন। বালাগঞ্জ ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক সাংগঠনিক দায়িত্বের হাতেখড়ি। ‘সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদ’ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে ছাত্র-মিলনায়তন সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সিলেটের রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।প্রবাসে থেকেও দেশ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি প্রথমে লন্ডন মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হিসেবেও মনোনীত হন। যুবলীগের রাজনীতি থেকে তিনি সরাসরি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন এবং বিভিন্ন সময় অন্তর্বর্তীকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রবাসে রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দেশের রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন।