কম্বোডিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়
স্পোর্টস ডেস্ক : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ (১৫ জুন) কম্বোডিয়ার বিপক্ষে  একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে মজিবুর রহমান জনির একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে তারা।এই জয়ের ফলে সাফের আগে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে এগিয়ে থাকবে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।কম্বোডিয়ার বিপক্ষে খেলার আগে তাদের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টিফি আর্মির বিপক্ষেও জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সাফের মত গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে এই দুই জয় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসকে চাঙ্গা রাখবে। এই নিয়ে ছয়বারের দেখায় কম্বোডিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচেই জয় পেলে বাংলাদেশ, অন্যম্যাচটি ড্র।  ম্যাচের আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে স্টেডিয়ামের কানায় কানায় দর্শক ভর্তি থাকবে সেটা অনুমেয়িই ছিল। দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সমর্থকদের সামনে খেলতে নেমে যেন শুরুতেই স্নায়ুর চাপ পেয়ে বসে বাংলাদেশকে। তবে দ্রুতই চাপ সামলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশের রক্ষণকেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম আক্রমনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠা সুমন রেজাকে ফাউল করে বসে চৌন-চানকাভ। এরপর জামাল ভূঁইয়া দুর্বল ফ্রি কিকে বল তুলে দেন গোলরক্ষকের গ্লাভসে। এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম আক্রমণ।২৪ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে মজিবর রহমান জনি ৬ গজের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ে দারুণভাবে প্লেসিং করে লক্ষ্যভেদ করেছেন।  গোলের সঙ্গে ৩০ হাজার গ্যালারি ভর্তি দর্শকরাও স্তব্ধ হয়ে যান সঙ্গে সঙ্গে।  কম্বোডিয়া ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে আরও। অন্যদিকে, এগিয়ে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা বাংলাদেশও। রক্ষণাত্মক কৌশল বদলে কিছুটা আক্রমনত্মক হয়ে খেলা শুরু করে তারা। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতীতে যায় বাংলাদেশ।দ্বিতীয়র্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে কম্বোডিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা মেলেনি তাদের। ৪১ মিনিটে কোউচ সকুমপিকের জোরালো শট গোলকিপার জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেছেন ।বিরতির পর কম্বোডিয়া ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করে। ৫২ মিনিটে তাদের একটি আক্রমণ গোলকিপার জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পর মাঠে নামেন শেখ মোরসালিন ও ইব্রাহিম। তাতে অবশ্য সেভাবে কোনও প্রভাব রাখতে পারেননি।  ৬৫ মিনিটে অভিষিক্ত মোরসালিনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেছে। ৬৮ মিনিটে লিম পিসথের হেড সাইড বার দিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের।শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ ১০ জনের দলে পরিণত। কাজী তারিক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তবে তাতে করে ম্যাচের ফলে কোনও বদল আসেনি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেই অলিম্পিক স্টেডিয়ামের মাঠ ছেড়েছে।সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে নিজেদের গুছিয়ে নিতে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি খেলেছে বাংলাদেশ। আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতা। এবারের আসরে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে লেবানন, মালদ্বীপ ও ভূটান। আগামীকাল ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবে বাংলাদেশ দল।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::