জিডিপির ৩ শতাংশ পেলে উন্নত দেশের চেয়ে ভালো সেবা দিতাম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জিডিপির ৩ শতাংশ পেলে উন্নত দেশের চেয়ে ভালো সেবা দিতাম: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা খুব অল্প বাজেটে কাজ করি। আমাদের আশেপাশের দেশ ৩, ৪, ৮ এমনকি জিডিপির ১০ শতাংশ পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে, যেন স্বাস্থ্য সেবাটা ভালো হয়।কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সবকিছুই বন্ধ হয়ে যায়। অথচ আমরা জিডিপির ১ শতাংশ দিয়ে কাজ করি। আমরা যদি জিডিপির ২-৩ শতাংশ পেতাম, তাহলে তাহলে যেকোনো উন্নত দেশের চেয়ে আমরা ভালো এবং বেশি সেবা দিতে পারতাম।বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নার্স ও মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।জাহিদ মালিক বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মাতৃ এবং শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে যে অর্জন করা হয়েছে, সেটাও সম্ভব হয়েছে আপনাদের (নার্সদের) কারণে। আপনারা সবাই কাজ করেছেন বিধায় এটা হয়েছে।  তিনি বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যার হার কিছুটা কমে আসছে। আপনাদের সেবায় স্বাস্থ্য খাতের গুণগত মান আরও ভালো হবে আশা করি। সরকার আপনাদের উন্নয়নে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নার্সিংয়ের কারিকুলামও আরও আপডেট করা হচ্ছে। আপনাদের গুণগত মান যেন আরও উন্নত হয়, সেদিকেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে যেন আপনারা চাকরি পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন, তা নিয়ে আমরা গর্ব করি। ভ্যাকসিন হিরো হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কাজ কারা করেছেন, এই নার্সরাই সেই কাজ করেছেন। একদিনে আমরা যে এক কোটি ২০ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছি, এর পেছনেও বিরাট ভূমিকা রয়েছে নার্সদের।জাহিদ মালিক বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো স্বাস্থ্য সেবায় জনবল কম। আমরা হিসাব করে দেখেছি আমাদের ডাক্তার নার্স এবং অন্যান্য জনবল মিলে প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য ২০ জন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদা হলো প্রতি ১৯ হাজার জনের জন্য ৪০ জন জনবল থাকবে। অর্থাৎ চাহিদার অর্ধেক জনবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেই অর্ধেক জনবল নিয়েই আমরা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছি। পুরো জনবল দিলে আমরা বিশ্বে এক নাম্বারে চলে যেতাম।নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা, জাইকার সিনিয়র প্রতিনিধি কমোটি তাকাশি, কানাডা হাইকমিশনারের প্রথম সচিব জোসেফ সেভাটুসহ অন্যান্য দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিরা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::