আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।বাংলাদেশ সময় রোববার (২৮ মে) রাত ১২টার আগেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে এরদোয়ানের বিজয়ের খবর বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে।এরপর থেকেই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভাসছেন এরদোয়ান। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের পাশাপাশি বিদেশি নেতারাও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য পাঠিয়েছেন।এরদোয়ানকে সর্বপ্রথম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি। পাশাপাশি তিনি তুরস্কের সঙ্গে কাতারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের ইচ্ছে পোষণ করেছেন।এদিকে এরদোয়ানের জয়কে তুরস্কের বিজয় বলে আখ্যা দিয়েছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ।ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘তুরস্কের মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। ’সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির বাদশাহ সালমান এরদোয়ানকে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।‘প্রিয় বন্ধু’ এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে এরদোয়ান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতির ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এরদোয়ানকে অভিনন্দন বার্তায় পুতিন বলেছেন, ‘নির্বাচনে বিজয় তুরস্কের সরকারপ্রধান হিসাবে আপনার নিঃস্বার্থ কাজের একটি স্বাভাবিক ফলাফল। একইসঙ্গে এই জয় রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করার এবং স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার জন্য তুরস্কের জনগণের সমর্থনের স্পষ্ট প্রমাণ। ’ ফিলিস্তিন, আজারবাইজান ও সার্বিয়ার রাষ্ট্র নেতারাও এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।এরদোয়ানের বিজয়কে অবিসংবাদিত উল্লেখ করে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ওরবান।এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। লুলা লিখেছেন, ‘শান্তি, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বিশ্বের উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতায় ব্রাজিলের অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করতে পারেন এরদোয়ান। ’এরদোয়ানের বিজয়কে স্বাগত জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘ফ্রান্স ও তুরস্ক এগিয়ে যেতে থাকবে। ’সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন টুইটারের মাধ্যমে এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ‘দুই দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি ভবিষ্যতে অগ্রাধিকার পাবে। ’