নিউজ ডেস্ক : কে এবং কারা নির্বাচন রুখতে আসে সেটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেখবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৩ মে) বিকেলে রাজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণে ‘বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিদেশে গিয়েছেন, নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য যাননি। শেখ হাসিনা বিদেশে ক্ষমতার জন্য যাননি, নালিশ করতে যাননি। দেশের উন্নয়নে, দেশের অর্থনীতিকে বলিয়ান করতে বিদেশিদের আহ্বানে বিদেশে গিয়েছিলেন। বিএনপির উদ্দেশে করে কাদের বলেন, আপনাদেরতো আমন্ত্রণ করার প্রয়োজন নাই, সকালে ঘুম থেকে উঠে, মুখ না ধুয়েই আমেরিকান দূতাবাসে গিয়ে হাজির হন নালিশ করার জন্য। আপনারা নিজেরা গিয়ে গায়ে পড়ে নালিশ করেন। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নালিশ করে না। বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের পরামর্শ দিতে পারে, কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে না। ক্ষমতায় বসাতে পারে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণও আমাদের সঙ্গে আছে। নালিশ করে আমরা ক্ষমতায় যেতে চায় না।ওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতই হাঁকডাক দেন, আমরা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের মাটিতে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিন শেষ, ওটা এখন মিউজিয়ামে চলে গেছে। ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মুখে ও গলাবাজিতে থাকবে, বাস্তবে নাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে কী হবে না সেটা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাদের সংবিধান নির্বাচনের বিধি-বিধান ঠিক করবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোনো দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছুই বলেনি।ওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি আজকে বলছে, সেইফ এক্সিট চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে সরে যেতে, আপনাদের কেউ আমরা বলেছি সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে কারা সেইফ এক্সিট নেবে তা জনগণই ঠিক করবে। সেইফ এক্সিট নির্বাচনে হবে। আপনাদের মিনমিনে আন্দোলনে সেইফ এক্সিট হয় না। নেতা ছাড়া আন্দোলন, নেতা ছাড়া নির্বাচন কখনোই হতে পারে না। এটাই হলো বাস্তবতা। বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেই পার্টি করি, যে পার্টি কৃষকের ধান কেটে দেয়, নিজেরা ইফতার না করে সেই টাকায় জনগণের মধ্যে ইফতার বিতরণ করি, করোনায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেই শেখ হাসিনার নির্দেশে। এজন্যই ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন, সে এবং তার পরিবার শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন। কীভাবে অস্বীকার করবেন যে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হয়নি। আমির খসরু সাহেব, এগুলো কী মিথ্যা। এগুলো কী পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়নি। ঋষি সুনাক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক আইএমএফের প্রেসিডেন্ট, শেখ হাসিনার কী কী প্রশংসা করেছেন, আপনার কী সেগুলো পড়ার সুযোগ হয়নি। আন্দোলনের সঙ্গে সন্ত্রাস উপাদান যোগ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাবেন, আবার আপনাদের এটাও প্রতিজ্ঞা আছে নির্বাচন রুখে দেবেন। আমরাও প্রস্তুত, কে নির্বাচন রুখতে আসে আমরা দেখব, কারা আসে নির্বাচন রুখতে আমরা দেখব।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, বিশেষ বক্তা ছিলেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু।