বিদায়ী জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করেছে মাদারীপুর পৌরসভা

বিদায়ী জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করেছে মাদারীপুর পৌরসভা
 মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে বিদায়ী জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করেছে মাদারীপুর পৌরসভা । বুধবার মাদারীপুর পৌরসভা মিলনায়তে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। মাদারীপুর পৌরসভার আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল আলম বাবু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর কবির,মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তুষার ভূঁইয়া, মাদারীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা আকন্দ, মাদারীপুর চেম্বার অফ কর্মাসের পরিচালক বাবুল দাস প্রমূখ। এই নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষক, ডাক্তার, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, পৌর পরিষদ এবং মাদারীপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এসময় জেলা প্রশাসককে ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ। পরে একে একে সবাই তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । নাগরিক সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে  ড. রহিমা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন, আমি ২০২০ সালের ৭ জুলাই মাদারীপুরে যোগদান করেছি। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই সরকারের সময়ে মাদারীপুর জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে । বিশেষ করে শিবচর উপজেলায় বেশি উন্নয়ন হয়েছে । এখানে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকলোলজি যেটা সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মাত্র প্রজেক্ট যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন তার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। এখানে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী, অনেকগুলো পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এখানে চলমান রয়েছে। অনেক প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখানে নার্সিং ইনস্টিটিউট হচ্ছে। জুডিসিয়াল একাডেমি যেটা সারা বাংলাদেশে একটাই। সেটাও এখানে হচ্ছে। এখানে বিচারক ও সকল আইনজীবীদের প্রশিক্ষন হবে।  আমার যোগদানের ২ বছর ৯ মাসে এখানে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তার জন্য আমি চীফ হুইপ স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় মানুষদেরকে। আমি আসলে সকলের কাছেই কৃতজ্ঞ। আমি যখন এই জেলায় যোগদান করি তখন এটা ছিল সি ক্যাটাগরির আর এখন এটা বি ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এর জন্যও আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। চীফ হুইপ স্যারসহ অন্যান্য এমপি যারা আছেন, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ যারা আছেন সকলেই কিন্তু চেষ্টা করে এটি কিন্তু করেছেন।ড.রহিমা খাতুন আরো বলেন, আমরা যদি মাদারীপুর জেলাকে একটি বিশেষ ক্যাটাগরির জেলায় উন্নীত করতে পারি তাহলে অনেক ভালো হবে। মাদারীপুর জেলা কিন্তু বিশেষ ক্যাটাগরির জন্য যথেষ্ট উপযোগী। এটা হলে আমার কাছে আরো ভাল লাগবে। বিভিন্ন কেবিনেট বলেন, জনপ্রশাসন বলেন সব জায়গায় কিন্তু মাদারীপুর জেলা কিন্তু খুবই আলোচিত হয়েছে এবং প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধি এবং আমরা যারা সরকারী কর্মকর্তা রয়েছি এই উভয়ের মাঝে যে সমন্বয় রয়েছে তা খুবই একটি প্রশংসনীয় বিষয়। আর এই সমন্বয় থাকলে যে অনেক ভালো ভালো কাজ করা যায়, অনেক চ্যালেঞ্জ নেয়া যায় সেই বিষয়গুলো কিন্তু এখানে আছে। আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাই  প্রধানমন্ত্রীকে। কারন তিনি আমাকে বাছাই করে মাদারীপুর জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এই মাদারীপুরে এসে এত ভালো ভালো মানুষ, বড় বড় নের্তৃত্ব, বড় বড় মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে যাদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। মাদারীপুরকে আমি সারাজীবন মনে রাখবো। এখানের মানুষের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ যে আমাকে কাজ করার জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ দিয়েছেন আপনারা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন