নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে প্রথম বৈদ্যুতিক মেট্রো রেলওয়ের (এমআরটি) যাত্রা শুরু হলো। এর মধ্য দিয়ে ঢাকায় যুক্ত হলো একটি নতুন গণপরিবহন ব্যবস্থা।বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সবুজ পতাকা নেড়ে স্বপ্নের মেট্রোরেল যাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে টিকিট কেটে চড়েন তিনি। ঐতিহাসিক এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন মরিয়ম আফিজা নামের এক নারী। কারণ, তিনিই ছিলেন সেই মেট্রোরেলের চালক। দেশের প্রথম মেট্রোরেল যাত্রার প্রথম চালক তিনিই। সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে মরিয়ম আফিজা বলেছেন, ‘ইতিহাসের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। ’প্রধানমন্ত্রীকে যাত্রী হিসেবে নিয়ে দিয়াবাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করে আগারগাঁওয়ে শেষ হয় আফিজার ১৭ মিনিটের যাত্রা।এ ১৭ মিনিটের প্রতিটি সেকেন্ডই তার কাছে ইতিহাসের পাতায় লেখা একেকটি অক্ষর যেন।মরিয়ম আফিজা বলেন, আজকে আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। সবার মতো আমিও আনন্দিত। দেশবাসী স্বপ্নপূরণের জন্য যেমন অপেক্ষায় ছিল, তেমনই আমাদেরও অনেক প্রস্তুতি ছিল। সবকিছু সফল হয়েছে আজকের মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর। তবে আজিফার গর্বটা আর সবার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার চালক তিনি।আফিজা বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় আমি চালক ছিলাম। এই যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন যাত্রী। এটা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার। পুরো দেশবাসীর মতো আমিও অনেক গর্ববোধ করছি। ’মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় চালক হিসেবে বেছে নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান আফিজা।ঢাকাবাসীর জন্য মেট্রোরেল কেমন সুবিধা আনবে প্রশ্নে আফিজা বলেন, ঢাকায় যানজটে কী পরিমাণ ভোগান্তি হয়, এটি আমাদের সবার জানা। মেট্রোরেল চালুর ফলে যানজটের অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি পাব নিশ্চিত।মেট্রোরেলের উদ্বোধনের দুদিন আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন লক্ষ্মীপুরের মেয়ে আফিজা। সেটাই স্বাভাবিক। দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালানোর সুযোগ আর তার যাত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, মরিয়ম আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। গত বছরের ২ নভেম্বর চালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। টানা এক বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকা চালক হিসেবে নিজেকে তৈরি করেন আজিফা।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।