প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি : ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জিয়ারুল ইসলাম একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হিসাবে অল্প কয়দিনের মধ্যে এলাকাবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে ।জানা যায়, মো: জিয়ারুল ইসলামভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদান করার পর তিনি থানা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে জরুরী মিটিং করে বলেন অতীতে যেইভাবে থানাগুলো চলতো এখন একটু ব্যতিকর্ম ভাবে চলবে । থানায় জিডি, মামলা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ কোনো বিষয়ে টাকা পয়সা নিবেন না । মানুষ যেন সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্য রাখবেন।
ভাংগা থানায় মামলা করতে আসা এক ব্যক্তি সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাগো থানায় নতুন এক ওসি এসেছে, তিনি নাকি অনেক ভালো, ধৈর্য সহকারে মানুষের কথা শুনেন, মানুষকে সঠিক পরামর্শ দেন, আমি একটি মামলা করেছি, মামলা করতে কোন টাকা পয়সা লাগেনি, আমি আরো শুনেছি মো: জিয়ারুল ইসলাম একজন সৎ ও মানবিক পুলিশ অফিসার । তার মতো এমন অফিসার যদি সব থানায় থাকতো তাহলে মানুষের সেবা পেতে আর কষ্ট হতো না ।
ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি যোগদান করার পর থেকে সর্বাধিক চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য । মানুষ যেন থানায় এসে কোনো রকম হয়রানি শিকার না হয় সেই দিকে কঠোর মনিটরিং করি, এছাড়াও ডিআইজি মহোদয় ও পুলিশ সুপার মহোদয় স্যারের দিকনির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি । সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পরকালের চিন্তা করি, মানুষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে কি হবে, আমি সরকার থেকে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার ভালোভাবে চলে যায়।
উল্লেখ্য, ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জিয়ারুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তি চেনেন নিজ এলাকার রাস্তা। আবার বলতে কিংবা বোঝাতেও পারেন না নিজের ঠিকানা। তবে ইশারায় বোঝাতে চেষ্টা করেন। আমার কাছে প্রায়ই এসে নিরবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আকুতি বাড়ি ফেরার। ইতিমধ্যে ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জিয়ারুল ইসলামের ফেসবুক পোস্টটি ভাইরাল হয়। অবশেষে ফেসবুকের মাধ্যমেই সফলতা।দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে বেড়ানো আপন ভাই শহিদুল ইসলাম বিসমিল্লাহ সংবাদ পেয়ে ফোন করেন ওসি জিয়ারুল ইসলামকে। সবকিছু জেনে নিয়ে সকালে থানায় আসলেন শহিদুল ইসলাম। এবার শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী নাম প্রকাশ করলেন মানবিক ওসি জিয়ারুল ইসলাম। নাম জসীমউদ্দীন কিরণ। বাড়ি নোয়াখালী। চট্টগ্রামে কাজের শেষে বাড়ি ফেরার সময় হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের পক্ষ থেকে ধরেই নিয়েছিলেন জসীমউদ্দীন কিরণ হয়তো মারা গেছে। মানবিক ওসি জিয়ারুল ইসলামের চেষ্টায় আজ বোবা মানুষটা বাড়ি ফিরে গেল।