পুতিন-লুকাশেঙ্কোকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি করার আহ্বান

পুতিন-লুকাশেঙ্কোকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি করার আহ্বান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে আগ্রাসন, যুদ্ধ পরিচালনার কারণে রাশিয়া ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন চলতি বছর শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউক্রেনের বাসিন্দা ওলেক্সান্দ্রা মাতভিচুক।শনিবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলোয় নোবেল পুরস্কার গ্রহণের সময় চলমান যুদ্ধ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি দুই রাষ্ট্র প্রধানকে আদালতে তোলার আহ্বান জানান তিনি।ওলেক্সান্দ্রা মাতভিচুক ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ’র প্রধান। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার অর্থ আগ্রাসীর চাপের কাছে নতি স্বীকার করা নয়। এর অর্থ হল নিষ্ঠুরতা থেকে মানুষকে রক্ষা করা। আক্রমণের মুখে থাকা একটি দেশ অস্ত্র রেখে শান্তিতে পৌঁছাতে পারে না।এ সময় তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও বেলারুশের স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান। মাতভিচুক বলেন, আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে আইনের শাসন কাজ করে এবং ন্যায়বিচার বিদ্যমান থাকে; এমনকি যদি তারা বিলম্বিতও হয়।এদিন তার সঙ্গে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন রাশিয়ার নাগরিক ইয়ান রাচিনস্কি। তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধকে উন্মাদনা বলে মন্তব্য করেন।ইয়ান রাচিনস্কি রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল’র প্রধান। তার দাবি, পুতিন তার দল দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উন্মাদ ও অপরাধমূলক আগ্রাসন চালাচ্ছে। রাশিয়ার নাগরিক সমাজের আজকের দুঃখজনক অবস্থা তার (পুতিন) অমীমাংসিত অতীতের সরাসরি পরিণতি।ক্রেমলিনের নিন্দা করে তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন উন্মাদনা ও অপরাধমূলক যুদ্ধের আদর্শিক যুক্তি হয়ে উঠেছে। এই উন্মাদনার প্রথম শিকারগুলোর মধ্যে একটি ছিল রাশিয়ার ঐতিহাসিক স্মৃতি। এখন, রুশ গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেশী দেশের বিনা প্ররোচনায় সশস্ত্র আক্রমণ, অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করা, অধিকৃত অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রয়োজন অনুসারে যুদ্ধাপরাধকে ন্যায়সঙ্গত হিসাবে উল্লেখ করে।রাশিয়ার সবচেয়ে সুপরিচিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি মেমোরিয়াল। তবে গত বছরের শেষ নাগাদ এটি বন্ধের নির্দেশ দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বন্ধের তিন দশকের বেশি সময় স্ট্যালিন যুগের নৃশংসতা প্রকাশে কাজ করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। এবার তাদের নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণেও প্রায় বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।অভিযোগটি করেন সংস্থার প্রধান ইয়ান রাচিনস্কি। তিনি বলেন, ক্রেমলিন থেকে মেমোরিয়ালকে পুরস্কার নিতে না করা হয় আমাকে। অনেকটা চাপের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু

ফরিদপুরে ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল