নিউজ ডেস্ক : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে উন্নয়নের পর উন্নয়ন হচ্ছে । এ ধারা অব্যাহত থাকবে।কিন্তু ওরা সমালোচনা করে যাচ্ছে। ওরা সমালোচনা করুক, আমরা কাজ করে জবাব দেবো। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।সেতুমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামেও মেট্রো রেলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চার লেনের পাশাপাশি আরও দুটি সার্ভিস লেন করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এ কাজে চীনের সহায়তা পাবো। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে গড়ে তুলতে বিশেষ পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশীপে পার্বত্য অঞ্চলেও পরিবর্তন হয়েছে। সর্বোপরি বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। এখন আমাদের লক্ষ্য আগামি ২০৪১ সালে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বানানো।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, চট্টগ্রামে আর কোনও উন্নয়ন বাকি নেই। চট্টগ্রামের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মায়াবী টান অনুভব করেন। এখানে অনেক পুরোনো নেতা রয়েছেন। এখন অনেকে বেঁচে নেই। স্থানীয় অনেক নেতার টানেল নির্মাণের দাবি ছিল।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, এ বড় প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। শুধু টানেল নয় বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চীনের নাম। কিছুদিন আগে উদ্বোধন করা পদ্মা সেতুতেও জড়িত ছিল চীন। আমি মনে করি, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, প্রথমদিকে চীন সরকার টানেল নির্মাণে সহায়তা করতে রাজি হয়নি। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আনকনভেনশনাল ডিপ্লোমেসির কারণে চীন সরকারকে রাজি হয়। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকালে আমরা যখন চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসলাম তখন তারা রাজি হননি। কিন্তু পরে রাতে খাবার টেবিলে প্রধানমন্ত্রীর ডিপ্লোম্যাটিক দক্ষতায় চীন সরকারকে রাজি করাতে সক্ষম হন। পরে লেট নাইট ডিনার আয়োজনের মাধ্যমে টানেলের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।তিনি বলেন, টানেল বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিলেন আমাদের। এত বড় প্রকল্প খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হয়েছে। টানেলের বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলোও তাড়াতাড়ি নেওয়া হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু স্মুথলি শেষ করতে পেরেছি। কোনও অভিযোগ আসেনি।প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। টানেল প্রান্তে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের পিডি হারুনুর রশিদ।