নিউজ ডেস্ক : সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি পাসপোর্টধারি রোহিঙ্গাদের মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সিস্টেমওয়াইজ আমরা পাসপোর্টগুলো নবায়ন করছি যারা ওখানে রয়েছেন।এজন্য আমাদের একটা জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি হতে যাচ্ছে। যাতে এসব সমস্যাগুলো সুরাহা করা যায়।রোববার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সফররত সৌদি আরবের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।আলোচনায় ঘুরেফিরে ‘রোহিঙ্গা’ প্রসঙ্গটি এসেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য তারা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। তারা সব ধরনের সহযোগিতা এনজিও ও সরকারি মাধ্যমে আমাদের দিচ্ছেন। সেটাকে আরও কীভাবে জোরদার করা যায়, কীভাবে এরা (রোহিঙ্গা) নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফেরত যাবে- এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।তিনি বলেন, সৌদি আরব জানিয়েছে যে, ৩ লাখ রোহিঙ্গা সেদেশে বসবাস করেন। তারা সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য সবই করছেন। তারা আমাদের কাছে যে আবেদন করেছিল আমরা সেটা দেখছি। তারা পাসপোর্টগুলো নবায়ন করে দেওয়ার জন্য বলেছেন। সিস্টেমওয়াইজ আমরা পাসপোর্টগুলো নবায়ন করছি যারা ওখানে রয়েছেন।রোহিঙ্গারা কী বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে সেখানে গিয়েছে, সেজন্য এখন পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়টি আসছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের দেশ হয়ে গেছে, এটা সঠিক। তারা তাড়া খেয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। ৩ লাখ লোক যারা গেছে, আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে তারা যায়নি। তারা নিজেদের ম্যাকানিজমে গেছে, তাদেরই (সৌদি সরকার) অনুরোধে।উল্লেখ্য, সৌদি আরবে ৩ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ৬০ হাজারের বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ পাসপোর্ট নবায়ন করছিল না।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বছরের পর বছর যারা সেখানে (সৌদি আরবে) বসবাস করছেন তাদের আমরা পাসপোর্ট দেব না বা তাদের আমরা শনাক্ত করতে যাচ্ছি না। যারা বিশেষ বিবেচনায়, বিশেষভাবে গিয়েছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে, আমরা যাদের পাসপোর্ট দিয়েছি, তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করার ব্যাপারে তো আমরা ওয়াদাবদ্ধ, সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা দেখব।আসাদুজ্জামান খান বলেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ হচ্ছে। সেখানে তাদের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা থাকবেন। তাদের সামনে যে সমস্যাটা আসবে, সেই সমস্যাটা তারা সমাধান করবে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধান করার জন্যই এ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটি যাকে মনে করবে এটাকে রিনিউ করে দিতে হবে, এটা বাংলাদেশি, সঙ্গে সঙ্গে রিনিউ করে দেবে। যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টিও ঠিক করবেন, কী কী যাচাই-বাছাই করবেন। কিন্তু আমাদের পাসপোর্ট হোল্ডারদেরই প্রাধান্য দেব, এর বাইরে আমরা কিছু করব না।