নিউজ ডেস্ক : আন্দামান সাগর হয়ে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে রাজধানীতে। ঢাকায় সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।এর ফলে রাজধানীর পল্লবীর কালশী রোডে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।সোমবার (২৪ অক্টোবর) এমন দৃশ্য দেখা গেছে।এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে কালশী রোডের উওর পাশে জমেছে হাঁটু পানি। দক্ষিণ পাশে পানি জমলেও তা দ্রুত সরে যাচ্ছে। এ সময় রাস্তাঘাটে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। বৃষ্টির কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রাস্তায়ও যানবাহনের তেমন চাপ দেখা যায়নি।পল্লবী এলাকার বাসিন্দা সালাউদ্দিন রিজ্জু বলেন, খুব জরুরি ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। বৃষ্টিতে ভিজে গেছি। কাজটাও হয়নি বৃষ্টির কারণে।মুসলিম বাজার এলাকার বাসিন্দা শামীম রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে দেরি করে বাজার করতে বের হলাম। বাজারে এসে দেখি বেশিরভাগ দোকান বন্ধ। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছি না। আজকে আমাকে হোটেল থেকেই খাবার কিনে খেতে হবে।কালসী রোডের ওষুধের দোকানদার মোজাম্মেল বলেন, আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। অন্য সময় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা ও যানজটের সৃষ্টি হয়। সে তুলনায় আজ অনেক পানি কম জমেছে কালসী রোডে। মানুষ ও যানবাহনের যাতায়াতও কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এ কারণে আমার দোকানে বেচাকেনা আজ কম।ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের তিনটি বিমানবন্দরে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে উড্ডয়ন-অবতরণ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।এর আগে, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দর সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।এছাড়াও সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় মারাত্মক আঘাত হানবে, দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ১৩টি জেলা হলো— সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী। অর্থাৎ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানবে। চট্টগ্রামের হাতিয়া এবং সন্দীপও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।