নিউজ ডেস্ক : খুলনার ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে যাওয়া বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের হামলার অভিযোগ উঠেছে। ফুলতলা উপজেলার ৫ নম্বর ঘারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ট্রলারে ঘিরে ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়।শনিবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। হামলার ঘটনাগুলো ঘটে তার আগে।খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য ও ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আবুল বাশারের অভিযোগ, সিকিরহাট ও ফুলতলা ঘাটে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে তারা সমাবেশের উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। দিঘলিয়া এলাকায় এলে পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নদীর তীর থেকে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাসনাত রিজভী মার্শাল জানান, বেলা সোয়া ১২টায় তারা ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় আসছিলেন। ট্রলারের মাধ্যমে। কয়েকটি ট্রলার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ঘিরে ফেলে। পরে রাম দা, রড, লাঠি নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে অর্ধশত বিএনপির নেতাকর্মীকে আহত করা হয়।এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার, শেখ লুৎফর রহমান, মুজাহিদ শেখ, আবদুল্লাহ, আবদুল মোকাদ্দেস, সুনীল দাস, আবদুল মজিদ, সিরাজুল ইসলাম, ফেরদাউস মোল্লা, হারুন রেজাসহ অনেকেই। আহতের মধ্যে ২২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী নিহত, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশের অংশ হিসেবে খুলনায় বিএনপির এ বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।সমাবেশে অংশ নিতে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতেই খুলনায় আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। পরে শনিবার সকাল থেকে দলে দলে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশে আসার সময় পথে পথে বাধার সম্মুখীন আরও অনেক বিএনপি নেতাকর্মী। খুলনা রেলস্টেশনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু জানালার কাঁচ।বৈকালী এলাকায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ের। এ সময় আহত হন অন্তত ১৫ জন। এছাড়া শিববাড়ী মোড়ে দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।সমাবেশে এসব ঘটনা উল্লেখ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, খুলনায় বিএনপির সমাবেশে বাধা দিয়েও ঠেকাতে পারেনি। সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে সরকারের পেটোয়া বাহিনী ও পুলিশ। কিন্তু লাভ হয়নি।এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি কয়েক জেলার সাধারণ মানুষও চরম দুর্ভোগে পড়েন। জরুরি কাজ থাকলেও অনেকেই যেতে পারেননি নির্দিষ্ট গন্তব্যে; বিশেষ করে কর্মমুখী মানুষরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। হাসপাতালে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হন অসুস্থ ব্যক্তিরাও।