আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিতর্কিত ‘মিনি-বাজেট’ নিয়ে চাপের মুখে থাকা লিজ ট্রাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছ থেকে ক্ষমতা নেওয়ার ৪৫ দিনের মাথায় হাল ছেড়ে এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন লিজ ট্রাস। এর আগে তার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান।ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে পদত্যাগের ব্যাপারে ঘোষণার সময় লিজ বলেন, আমি আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসকে জানিয়েছি। আমি স্বীকার করছি, যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম, সেটি দিতে পারছি না।এর আগে তিনি বলেন, কম ট্যাক্স উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির জন্য আমার সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। আমাদের দেশ দেশ দীর্ঘদিন ধরে নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শিকার। পিছিয়ে পড়েছি আমরা। আমি ও আমার দল এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছিল, যা আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।পদত্যাগ করলেও নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। আগামী সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হব বলেও জানান লিজ ট্রাস।বিবিসির খবরে বলা হয়, লিজ ট্রাস পদত্যাগের ঘোষণা দিলে দলীয় আইনপ্রণেতারা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। লিজ ১৯২২ কমিটি চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলির সঙ্গে দেখা করেছেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নেতৃত্ব নির্বাচনের ব্যাপারে তারা একমত হয়েছেন।নানা অভিযোগে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস। গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।