আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া বলেছে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর দিয়ে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বা পরীক্ষা ছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সতর্কবার্তা। পুরো বিষয়টি সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে।আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানায়, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্যেই দক্ষিণ-কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ নৌ মহড়া পরিচালনা করে। কিমের ‘কৌশলগত পারমাণবিক’ মহড়া তারই প্রতিক্রিয়া।গত দুই সপ্তাহে সাতবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। গতকাল রোববার (৯ অক্টোবর) ভোরেও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং উন যে অনুশীলনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে ‘মক পারমাণবিক ওয়ারহেড’ সংযুক্ত ছিল। পুরো প্রক্রিয়া কৌশলগত পারমাণবিক অপারেশন ইউনিটের নেতৃত্বে করা হয়। যার তদারকি কিম নিজেই করে থাকেন।প্রতিবেদনে একটি ছবি যোগ করেছে সম্প্রচার মাধ্যমটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কিম সাদা রঙয়ের স্যুট পরে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিভিন্ন পরীক্ষায় দক্ষিণের সামরিক কমান্ড সুবিধা, স্ট্রাইকিং প্রধান বন্দর ও বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।কিম বলেছেন, পারমাণবিক যুদ্ধ হলে আমাদের শক্তির কার্যকারিতা ও ব্যবহারিক ক্ষমতা কী হতে পারে, তা এসব পরীক্ষায় প্রদর্শিত হয়েছে। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যেকোনো স্থান থেকে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে ও ধ্বংস করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। যদিও শত্রুরা সংলাপ ও সমঝোতার বিষয়ে কথা বলে চলেছে। আমাদের কথা বলার কিছু নেই। আমরা তা করার প্রয়োজনও বোধ করি না।চলতি বছর সেপ্টেম্বর নিজেদের পারমাণবিক আইন সংশোধন করেছে উত্তর কোরিয়া। তারপর কিম তার দেশকে একটি ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক শক্তিধর ঘোষণা দেন।এদিকে, পারমাণবিক শক্তি চালিত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানসহ দক্ষিণ কোরিয়ার যে নৌ মহড়া, সেটি পিয়ংইয়ংকে তাঁতিয়ে তুলেছে বলেও কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রকৃত যুদ্ধের অনুকরণে সামরিক মহড়া পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মহড়াটি দেশের যুদ্ধ প্রতিরোধ ও পাল্টা পারমাণবিক আক্রমণের ক্ষমতা পরীক্ষা ও মূল্যায়নের জন্য করা হবে।