বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি আকবর হোসেন পাঠান। সবার কাছে যিনি ফারুক নামেই পরিচিত।এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরেই সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।২০২১ সালের মার্চ মাসে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই স্ত্রী ফারহানা পাঠান তার সঙ্গে রয়েছেন। সম্প্রতি তাকে দেখতে সিঙ্গাপুরে গেছেন মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, পুত্র রওশন হোসেন শরৎ ও ভাগনি লিমা। সামাজিক মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবিতে দেখা গেছে ফারুককে।সুস্থ হয়ে ওঠেছেন এই নায়ক। তার স্ত্রী ফারহানা জানান, বর্তমানে তার স্বামী ফারুক ভালো আছেন। এখন তাকে নিয়ে দেশে ফেরার পালা।এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) নায়ক ফারুকের জন্মদিন ছিল। সিঙ্গাপুর থেকে জন্মদিন উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ‘মিঞা ভাই’ খ্যাত অভিনেতা। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন ফারুক। এরপর ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘আলোর মিছিল’ দুটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।১৯৭৫ সালে তার অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দু’টি ব্যবসা সফল ও আলোচিত হয়। ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর সময় যতো পেরিয়েছে পর্দায় নিজেকে গড়েছেন ভেঙেছেন। একে একে অভিনয় করেছেন ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির মায়া’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘নাগরদোলা’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘কথা দিলাম’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব’, ‘ছোট মা’, ‘এতিম’, ‘ঘরজামাই’, ‘মিয়া ভাই’র মতো অসংখ্য সিনেমায়। সবশেষ ২০০৮ সালে ‘ঘরের লক্ষ্মী’ সিনেমায় অভিনয় করেন ফারুক।অভিনয়ের বাইরে নায়ক ফারুক একজন রাজনীতিবিদ। স্কুল জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন তিনি। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।