নিউজ ডেস্ক : ‘বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিতে না পেরে’ পদ্মা সেতু থেকে লাফ দিয়েছেন মো. নুরুজ্জামান (৩৮) নামের এক পোশাক কারখানার কর্মী। সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে পদ্মা সেতুর ওপর থেকে ঝাঁপ দিলেও দিনগত রাত ২টা পর্যন্ত নদীতে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে না পেরে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন তিনি।নুরুজ্জামানের সঙ্গে থাকা ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি জানান, সোমবার সকাল ৭টায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান সকাল সাড়ে ১০টায়। এরপর সেখানে ২ ঘণ্টার মতো অবস্থান করেন চেষ্টা করি ফুল দিতে। কিন্তু কোনো কার্ড না থাকায় ফুল দিতে পারেননি তারা। এরপর সেখান থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা করেন। সেতুতে অবস্থানকালে গাড়িটি কম গতিতে চলছিল। তখন নুরুজ্জামান গাড়ি থামাতে বলেন। গাড়ি না থামালে তিনি কিছু না বলেই দরজা খুলে সেতু থেকে ঝাঁপ দেন। এরপর ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি তারা জানান। তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে প্রায় চার বছরের সম্পর্ক নুরুজ্জামানের। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। তবে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেক ভালোবাসতেন। কাঁচপুর এলাকায় তিনি দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঝাঁপ দেওয়ার আগে সেতুতে অবস্থানকালে নুরুজ্জামান মোবাইলে নিজের ভিডিও চালু করে কথা বলছিলেন। তিনি শেখ মুজিবকে ভালোবাসেন, ফুল দিতে পারেননি তাই কষ্ট পেয়েছেন এ কথা বলছিলেন।মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এক ব্যক্তি পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। আমরা এখনও তাকে পাইনি। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল না দিতে না পেরে তিনি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রকম কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ওহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, পদ্মায় প্রবল স্রোত রয়েছে। এরমধ্যে সেনাবাহিনী ও নৌপুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান করেছে। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার কাজ শুরু হবে। বর্তমানে প্রাইভেকারসহ চালক আজিজুল ও বন্ধু ওমর ফারুক মাওয়া নৌপুলিশ স্টেশনে রয়েছেন।