নিউজ ডেস্ক : সরকারি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখা ও জাটকা ধরায় কঠোর নজরদারির কারণে মিলছে সুফল।চট্টগ্রামে গত এক বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪৮৭ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রামে ইলিশ পাওয়া যায় ৫ হাজার ৬৮৩ দশমিক ৭১ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ হাজার ৯৫৬ দশমিক ৬৩ টন ইলিশ ধরা পড়ে। ২০২১-২২ অর্থবছরে পাওয়া গেছে ৭ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৬২ টন ইলিশ। এই হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে ইলিশ পাওয়া গেছে প্রায় এক হাজার ৭৬০ টন বেশি। মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থায়িত্বশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করা। মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের এমন ব্যবস্থাপনার কারণে এরই মধ্যে ইলিশের পুরনো ঐতিহ্য ফিরে এসেছে।চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী জানান, সরকারের নানামুখি উদ্যোগের কারণে দিন দিন ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকায় সুফল মিলছে। নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত জাটকা ধরা বন্ধ এবং সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার ফলে ইলিশের আকারও বাড়ে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, নৌবাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। নগরের ফিশারিঘাটসহ বিভিন্ন মৎস্য আড়তে ইলিশ আসছে। সমুদ্র উপকূলীয় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বেশ বড় ইলিশ।