ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে পর্যায়ক্রমে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান, মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ আতাউর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী এবং মুকাব্বির হবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় জামাতে ইমাম হবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করবেন। চতুর্থ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এই জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী।
বায়তুল মোকাররমে এবার ঈদুল আজহার পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন অপর পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। এ জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে।
পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। যারা মসজিদে জামাতে নামাজ পড়বেন তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসবেন এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর চারটি ঈদে ঈদগাহ ছিল আয়োজনশূন্য। কোভিডবিধির কড়াকড়িতে ঈদ জামাত সীমিত ছিল চার দেয়ালের ভেতর, কোলাকুলিতেও ছিল মানা। সংক্রমণ কমে আসায় এবার রোজার ঈদে উৎসবের পুরনো মেজাজ ফেরে, মে মাসে রোজার ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহেই হয়। তার ধারাবাহিকতায় কোরবানির ঈদের প্রধান জামাতও সেখানে হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ঈদ জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে হাই কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এদিকে এবার ১৯৫তম ঈদুল আজহার জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। সকাল ৯টায় এ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম বলেছেন, জায়নামাজ ছাড়া ঈদগাহে কিছু আনা যাবে না। ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ছাতাও না।
সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনে কয়েক বছর ধরে শোলাকিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান। আয়োজকদের দাবি, প্রায় ২২ একর আয়তনের এ মাঠে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ সেখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে ঈদুল আজহার নামাজের জামাত হবে।