পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দুটি বিষয়ে নির্দিষ্ট করে নির্দেশনা দিয়েছেন- পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে যে ট্রান্সপোর্ট হবে সেটা স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্লানে অনুমোদন করা হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে, যাতে ঢাকা শহরে কোনো গাড়ি না ঢোকে।
দ্বিতীয়ত হলো- যেহেতু দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের সঙ্গে আমাদের একটা যোগাযোগ হয়ে যাচ্ছে, বিপুল পরিমাণে পণ্য এখন ঢাকা শহরে আসা শুরু করবে বা চট্টগ্রামের দিকে যাবে। সেই ক্ষেত্রে ঢাকা শহরে যে কাঁচামালগুলো আসবে, আমাদের যেহেতু একটাই মার্কেট- কারওয়ানবাজার। এটাকে উনি আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেটা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। যাতে ঢাকা শহরে সব কাঁচামাল না ঢোকে। প্রয়োজন হলে কেরানীগঞ্জের ওপাশে, সায়েদাবাদে, আমিনবাজারে আর এদিকে মহাখালী থেকে আর একটু উপরের দিকে কোথাও যদি কাঁচাবাজরগুলো করি এবং সেখান থেকে যদি বিপনন করি তাহলে আমাদের শহরের কেন্দ্রস্থল যানজট এবং নোংরা হওয়া থেকে রেহাই পাবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা নোট করেছি। আমরা দ্রুত এটা বাস্তবায়ন করব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা আগেরই সিদ্ধান্ত ছিল। উনি আরও ৪-৫টা জায়গার কথা উল্লেখ করেছেন। মহাখালীতে একটা বড় জায়গা ছিল। করোনার কারণে আমরা সেখানে একটা ১৫শ শয্যার হাসপাতাল করেছি। শুধু এখানে না, উনি কাঁচপুরেও করতে বলেছেন। প্রয়োজন হলে কেরানীগঞ্জে এবং আমিনবাজারেও। এ বিষয়ে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ এগুলো নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা করতে।
তিনি জানান, ইস্ট ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শেষে ডিপিপি হচ্ছে। হেমায়েতপুরের ওখান থেকে এলিভেটেড রাস্তা যাবে। এটা কেরানীগঞ্জে এসে উপর দিয়ে ক্রস করবে সেকেন্ড লেভেলে। ঢাকা-মাওয়া সড়ক ফাস্ট লেবেলে আছে, এটা সেকেন্ড লেবেলে ক্রস করবে। ওখানে ইন ও আউট থাকবে। আর একটু ডাউনে গিয়ে পোস্তগোলার ওদিকে ক্যাবল স্টেট ব্রিজ হবে যাতে পিয়ার না পড়ে। এরপর পাগলা ও ফতুল্লাকে ডানে রেখে স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে শীতলক্ষাকে অতিক্রম করবে। ক্যাবল স্ট্রেট ব্রিজ হবে কোনো পিয়ার হবে না সেটা লাঙ্গলবন্দ দিয়ে উঠবে। আর ওখান থেকে মদনপুর দিয়ে একটা লিংক থাকবে, যারা সিলেটে বা ময়মনসিংয়ের দিকে যাবে তারা ওদিক দিয়ে বের হয়ে যাবে। আর চট্টগ্রাম-কক্সাবাজারের যারা যাবে তারা লাঙ্গলবন্দ দিয়ে বের হয়ে চলে যাবে। তখন নারায়াণগঞ্জের একটা অংশের গাড়ি প্রধান সড়কে ঢুকবে না। এখান দিয়ে এসে পোস্তগোলা বা ঢাকার দিক যেখানে সুবিধা হবে। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের কাছে একটা লিংক থাকবে। এছাড়া গাবতলী থেকে একটা লিংক দেওয়া হবে। যাতে গাবতলীর বাস শহরে ঢোকার প্রয়োজন হবে না।তিনি বলেন, এটার ডিপিপি হচ্ছে। খুব দ্রুত ডিপিপি শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন শিগগিরই হয়ে যাবে। মন্ত্রিসভায় পদ্মা সেতু সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, অভিনন্দন প্রস্তাব আনার পর উনিও বলেছেন যে এটা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। বিশেষ করে জনগণ যেভাবে সরকারকে বা প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দিয়েছে বা উদ্বুদ্ধ করেছে করেছে, এটা একটা বড় বিষয় হিসেবে কাজ করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিশেষ ধন্যবাদ এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।