অন্য সময় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পাঠাও মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও আজ ছিল একেবারেই ফাঁকা। মোটরসাইকেল কম থাকায় পোস্তগোলা ব্রিজের ওপরে মাওয়া ও দূরপ্রান্তে যাওয়া বাসগুলোর সামনে ছিল প্রচুর ভিড়। কোনো বাস আসলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা।
ফাঁকা বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক
শরিয়তপুরগামী যাত্রী সোহেল বলেন, মোটরসাইকেল না থাকায় বাসওয়ালাদের সুবিধা হয়েছে। তারা ভাড়া বেশি নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে বাস চালক ও হেলপাররা খারাপ ব্যবহার করছে। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মরবে বড় লোকের ছেলেরা, আর ভোগান্তিতে পড়বো আমরা সাধারণ জনগণ?
বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা
পোস্তগোলা ব্রিজের টোল আদাকারী মাসুদ বলেন, রোববার মোটরসাইকেলের কারণে আমরা টোল নিতে হিমশিম খেয়েছি। আর আজকে ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মনে হয় ৫০ টাও মোটরসাইকেল যাওয়া আসা করেনি।
সকাল থেকে ফেরি চলাচলও বন্ধ ছিল। তাই আরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে দু’পাড়ের মোটরসাইকেল আরোহীদের। পরে সকাল ১০ টার নাগাদ ফেরি চলাচল শুরু হলে ভোগান্তি কিছুটা কমে।ফেরিতে মোটরসাইকেলের ভিড়
প্রসঙ্গত, রোববার (২৬ জুন) ভোর ছয়টা থেকে সব ধরনের যানবাহনের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে রাত ১০টায় মারাত্বক দুর্ঘটনায় দু’জন মারা যান। এর পরপরই সেতু বিভাগ পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের মোটরসাইকেল (২৭ জুন থেকে) অনিদিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।