ঢাকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সাময়িক হিসাবে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ দিন বেলা ৩টায় বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি।এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট। বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের টানা ১৪তম বাজেট। ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’ শিরোনামে এবারের বাজেট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট।বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারির কারণে শুধু ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। নতুন ভিত্তিবছর অনুসারে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তা হ্রাস পেয়ে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে দাঁড়ায়। তবে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অতি দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছিলাম। ফলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কোভিড-১৯-এর প্রভাব অব্যাহত থাকার পরও ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অর্থনৈতিক চলকসমূহের গতিপ্রকৃতি দৃষ্টে প্রতিভাত হয় যে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ অব্যাহত থাকলেও অর্থনীতির ওপর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়। পাশাপাশি কোভিড-১৯ অতিমারির প্রলম্বিত প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে দুপুর ১২টার কিছু পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়। এবারের বাজেটে আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় এবারের বাজেট ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর এটি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি।