নিউজ ডেস্ক : উজিরপুরের বাস দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ।রোববার রাতে উজিরপুর মডেল থানায় হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মো. মাহাবুব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।সোমবার (৩০ মে) সকালে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাসের মালিক পক্ষ থেকে কোন যোগাযোগ করেনি। এমনকি বাসের চালকের নিশ্চিত তথ্য না পাওয়ায় অজ্ঞাত চালককে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।এদিকে স্থানীয়রা আমাদের কাছে বলেছে, দুর্ঘটনার পর চালক আহত অবস্থায় পালিয়েছেন। তবে এ তথ্য আসলে সত্য কিনা সেটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।অপরদিকে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ এ ঘটনায় জিডি করেছে। উদ্ধার হয়েছে বাস চালক ও মালিকের পরিচয়। রোববার রাত আটটার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন উজিরপুর মডেল থানার ওসি আর্শেদ আলী ।তিনি জানান, রোববারে ভোরের ঘটনায় থানায় তারা সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে। জিডির তদন্ত করা হবে।ওসি আরও বলেন, যমুনা পরিবহনের বাসের মালিক ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার মো. ফারুক আহমেদ।বাস চালকের পরিচয় মিলেছে জানিয়ে ওসি বলেন, আর বাস চালকের যে পরিচয় প্রাথমিকভাবে পাওয়া সেটি যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাকে গ্রেপ্তারের অভিযানও চলছে।বাস চালক হলো বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার মানিক খানের ছেলে আরিফ খান।এদিকে দুর্ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে অবশিষ্ট দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করেন স্বজনরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. কনক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টার পরে দুইজনকে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। এরা হলেন বরগুনা জেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের চরগাছিয়া গ্রামের ইমরান (২৭) ও মঠবাড়িয়া উপজেলার টিয়াখালী দুর্গাপুর গ্রামের রিপন খান(৪৪)।এর আগে নিহত ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত হয় এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।উল্লেখ্য, রোববার (২৯ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ও সানুহারের মাঝামাঝি স্থানে বেপরোয়া গতির বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১০ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে বাসের যাত্রীরা বলছেন, বরিশালে উদ্দেশ্যে যাত্রার শুরুতেই বাসটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। সেইসঙ্গে গোটা পথে চালকও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়েছে। বাস দুর্ঘটনায় আহত পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গাছপাশা গ্রামের মৃত. আবদুল ছত্তার মৃধার ছেলে জলিল মৃধা জানান, নবীনগরে বসে গাড়িটিতে ত্রুটি দেখা দেয়, তারওপর নির্ধারিত সময় থেকে অনেক দেরি করে যাত্রা করে গাড়িটি।তাদের মতে, সময়মত বাস না ছাড়া আর অদক্ষ লোকদের দিয়ে বাস চালানোর কারনেই আজ এতগুলো মানুষ প্রান হারালো। অনেকে পঙ্গুও হয়ে যাবে।