সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই দিন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার দর্শনার্থী এসেছেন চিড়িয়াখানায়। মঙ্গলবার (০৩ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।এ দিন ধানমন্ডি থেকে দুপুর ১টার দিকে চিড়িয়াখানায় এসেছেন নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, সকালে বৃষ্টি থাকায় দুপুরে এসেছি চিড়িয়াখানায়। গত দুই বছর চিড়িয়াখানায় আসতে পারেনি করোনার বিধিনিষেধের কারণে। আজ এসেছি আমার তিন বাচ্চাকে চিড়িয়াখানার পশুপাখি ও বাঘ-সিংহ দেখাতে। ওদেরকে নিয়ে প্রথমবার আসলাম চিড়িয়াখানায়। বাঘ-সিংহ দেখে আমার বাচ্চারা খুব খুশি। গাবতলী থেকে এসেছেন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেকদিন পরে চিড়িয়াখানায় আসলাম। মূলত আমার দুই ছেলেকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছি। ওদেরকে এখানকার পশু-পাখি ও প্রাণি দেখাতে নিয়ে এসেছি। করোনাকালে ওদেরকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। তাই সপরিবারে ঈদের দিন ঘুরতে চলে আসলাম চিড়িয়াখানা।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় কম ছিল। দুপুরের পর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। যদি সকালে বৃষ্টি না থাকতো তাহলে আজকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার দর্শনার্থী আসতো। দুপুরের পর আজকের দর্শনার্থীও হয়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করছি বুধবার দর্শনার্থী আসবে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার। কারণ গত দুই বছর করোনাকালের বিধিনিষেধের কারণে চিড়িয়াখানায় আসতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কর্মচারী কর্মকর্তারা সাতটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছেন। এই সাতটি দলে ৬৪ জন কাজ করছেন। ঈদের দিন থেকে ৫ দিন তারা কাজ করবেন। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে লোকাল পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ ও র্যাব। এছাড়াও আমাদের নিজস্ব আনসার বাহিনীও কাজ করছে।