জামালপুর গামী দূরপাল্লার বাস বিনিময় পরিবহনের চালক রফিকুল বলেন, আমাদের উত্তরবঙ্গের গাড়িগুলো বেশির ভাগ চন্দ্রা হয়ে বাইপাইল এসে হয়তো টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক অথবা ঢাকা-আরিচা সড়ক দিয়ে টারমিনালে যায়। আমাদের গাড়ি সারা বছর এই সড়কে চলে। সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বগাবাড়ি বাজারের পর থেকে ইউনিক পর্যন্ত ও শিমুলতলা থেকে জামগড়া পর্যন্ত। সামনে ঈদ এই রুটে যানজটে পড়তে হবে। পোশাক শ্রমিক আরশাফ আলী বলেন, সড়কটির পানি নিষ্কাশনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি না থাকলেও পানি জমে থাকে। এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অবস্থা জানতে সোমবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত সড়কের অবস্থা ভালো রয়েছে। এরপর থেকে ধামরাইয়ের অংশে সড়কে কাজ করার কারণে বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া রাস্তা চার লেনের করা হলেও এখনো কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। এতে করে এই সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের যাতায়াতের জন্য রাস্তা এখনো প্রস্তুত না করায় ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে সড়কের যানজট।ঢাকা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঈদযাত্রার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। যেন ঈদ যাত্রার দুই-তিন দিন সড়ক যানজট মুক্ত রাখা যায়। মানুষ যেন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারে।
টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি তাকে জানানো হলে তিনি বলেন, আসলে আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য আমাদের কাছ থেকে সড়কটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে সেতু বিভাগ। এরপর থেকে এক্সপ্রেসওয়েটির প্রকল্প পরিচালক সাহবুদ্দিন সাহেব এই সড়কের দেখভাল করেছেন। তবে আমাদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর পর্যন্ত সড়ক ভালো রয়েছে।ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খানকে কয়েকবার ফোন করে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।সাভার ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদের ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের সাভার জোনের ট্রাফিক ইনর্চাজ আব্দুস সালাম।